ভুল থেকে কিছুই শেখেনি বাংলাদেশ, ব্যাটারদের দুষলেন মিরাজ
ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারতে প্রায় ভুলেই গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবার ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে প্রথম দুই পরীক্ষায় ফেল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে হেরেছিল ৫ উইকেটে। এতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচের জয়যাত্রা থেমেছিল বাংলাদেশের।
গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডে হেরে সিরিজও খোয়ালো বাংলাদেশ। এই ম্যাচ মেহেদী হাসান মিরাজের দল হেরেছে ৭ উইকেটে। লড়াইটাও করতে পারেনি। এতে ১০ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম ওয়ানডে হেরে বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ বলেছিলেন, ক্রিকেটারদের অনেক ভুল ছিল। এখনও তাদের সিরিজ জয়ের সুযোগ আছে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বাকি দুই ম্যাচ জিতবেন তারা।
কিন্তু মিরাজের কথার হিতে বিপরীত হলো। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আরও বেশি ভুল করলেন ক্রিকেটাররা। প্রথম ওয়ানডেতে ১৫৫টি ডট বল খেলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। ছিল ৩০০ রান করতে না পারার আক্ষেপ। যদিও পুঁজি ছিল লড়াই করার মতো ২৯৮ রানের। কিন্তু এবার বাংলাদেশকে চরম হতাশ করলেন ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অলআউট জয় ২২৭ রানে ৪৫.৫ ওভারে।
শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ ও তানমজিম হাসান সাকিব যদি ৯২ রানের জুটি না করতেন, তাহলে বাংলাদেশ ২০০ রানের ঘরও পেরোতে পারতো না। কেননা ২০ রানেই সফরকারীরা হারিয়ে ফেলেছিল ৪ টপঅর্ডারকে।
শুরুর ধাক্কা সামলে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন মিডলঅর্ডাররাও। যে কারণে পুঁজিও বড় করতে পারেনি বাংলাদেশ। নিজেদের ব্যর্থতা ম্যাচের পর স্বীকার করে ব্যাটাররে দুষেছেন মিরাজ।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম দিকে রান পাইনি। ২০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। তারপরও আমরা ভেবেছিলাম, কামব্যাক করতে পারবো। আমাদের স্কোর যথেষ্ট ছিল না। ৩০০ প্লাস দরকার ছিল। মাঝের ওভারে ভালো ব্যাট করতে পারিনি। কোনো পার্টনারশিপ হয়নি। ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারিয়েছি।’
অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম সাকিবের ৯২ রানের ইনিংসের প্রশংসা করেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব ভালো খেলেছে। আমাদের ভুলের কারণেই আমরা হেরেছি।’
কম পুঁজি নিয়েও শুরুর দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে বাংলাদেশ। নাহিদ রানা ছিলেন দুর্দান্ত। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে গতির ঝড় তোলেন তিনি।
রানার বোলিংয়ের প্রশংসা করে মিরাজ বলেন, ‘প্রথম দশ ওভারে আমরা সত্যিই ভালো বোলিং করেছি। বিশেষ করে আমাদের সেরা বোলার- রানা। এই উইকেটে বোলারদের জন্য আন্ডার-পার স্কোর রক্ষা করা কঠিন।’
এমএইচ/জেআইএম