ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ক্রিকেটে ভ্রাতৃত্রয়

দুই কারেন ইংল্যান্ডে, এক কারেন ডাক পেলেন জিম্বাবুয়ে দলে

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:০৫ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বাবা কেভিন ম্যালকম কারেন ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার; ১৯৮৩ সালে স্বাধীন হওয়া জিম্বাবুয়ের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে দলের সদস্য। সেটি আবার ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় আসর বিশ্বকাপ দিয়ে। এবার সাবেক ক্রিকেটারের তিন ছেলের সবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখছেন।

কেভিন কারেনের তিন ছেলে- যথাক্রমে টম কারেন, বেন কারেন ও স্যাম কারেন। প্রথম ও তৃতীয় ছেলে বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিত হয়ে গেছেন আরও আগেই।

২০১৭ সাল থেকে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন বড় ছেলে টম কারেন। এখন পর্যন্ত টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে ২৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তৃতীয় ও ছোট ছেলে স্যাম কারেন তো ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতা নিয়ে দারুণ অবদানও রাখছেন।

২০১৮ সালে অভিষেক হওয়া স্যাম কারেন ইংল্যান্ডের হয়ে ২৪ টেস্ট, ৩৫ ওয়ানডে ও ৫৮ টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট ১১৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন।

বেন কারেন (বামে) ও টম কারেন (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন কেবল মেজো ছেলে বেন কারেন। এবার তিনিও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করতে যাচ্ছেন। তবে অগ্রজ ও অনুজ দুই ভাইয়ের মতো ইংল্যান্ড দলের হয়ে নয়, ২৮ বছর বয়সী বেন কারেন ডাক পেয়েছেন বাবার দল জিম্বাবুয়েতে।

আগামীকাল বুধবার ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে মাঠে নামবে জিম্বাবুয়ে। এই সিরিজ শেষে সমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলবে স্বাগতিকরা। মূলত জিম্বাবুয়ের ওয়ানডে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে বেন কারেনকে।

দুই মাস আগে বাবার দলের হয়ে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেন বেন। এবার পূরণ হতে চলেছে বাঁহাতি ব্যাটারের কাঙ্ক্ষিত ইচ্ছে।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করে নিজের জায়গা অর্জন করেছেন কারেন।’

ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম নর্থথাম্টটনশায়ারের হয়ে খেলেন বেন। এরপর সাউথার্ন রকস ও মিড ওয়েস্ট রিনোসের হয়ে খেলেন টপঅর্ডার ব্যাটার।

বাবা কেভিন ম্যালকম কারেনের জন্ম জিম্বাবুয়ের পূবাঞ্চলীয় শহর রুসাপেতে ১৯৫৯ সালে। ওই সময় অঞ্চলটি ব্রিটিশ উপবেনিবেশের অংশ। ম্যালকমের পূর্বপুরুষ ছিল আয়ারল্যান্ডের অধিবাসী। ব্রিটিশ শাসনের সময় তারা জিম্বাবুয়ে গিয়ে বসতি স্থাপন করেন।

১৯৮৩ সালে স্বাধীন হয় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ম্যালকম থেকে যান সেখানেই। তারকা অলরাউন্ডার জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলেন ১১টি ওয়ানডে। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দেশটির জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন আইরিশ পাসপোর্টধারী এই ক্রিকেটার।

এমএইচ/জেআইএম