হাফ সেঞ্চুরি করলেন অধিনায়ক মিরাজও
ম্যাচ শুরুর আগে গুঞ্জন ছিল, তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামতে পারেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু তিনি তিনে না নেমে পাঠান লিটন দাসকে। যিনি মাত্র ২ রান করে ফিরে যান সাজঘরে।
মিরাজ নামলেন এরপরই। চার নম্বরে। তানজিদ তামিমের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলের বিপদ সামাল দেন। ৬০ রান করে তানজিদ তামিম আউট হয়ে গেলেও মিরাজ ব্যাট করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেছেন তিনি।
এ রিপোর্ট লেখার সময় মিরাজ ব্যাট করছেন ৮৯ বলে ৬৩ রান নিয়ে। তার সঙ্গে ২৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। জুটি হয়েছে ৫৪ রানের। বাংলাদেশের রান ৩৩.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৯।
এরআগে দৃষ্টিনন্দন তিনটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু তাতেই মনে হচ্ছিল অতি আত্মবিশ্বাস ভর করেছে তার ওপর। যার খেসারত দিতে হলো ৫ম ওভারের ৫ম বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১৮ বলে ১৯ রান করে ফিরে যান তিনি।
সবাই হয়তো ভেবেছিলেন, গ্লোবাল টি-২০ লিগে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার ধারাবাহিকতা নিয়ে আসবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও; কিন্তু পুরনো ফর্মের ধারাবাহিকতাই টেনে আনলেন তিনি। দ্রুত আউট হয়ে বিপদে ফেললেন বাংলাদেশকে।
সৌম্য যদি বাংলাদেশ দলকে বিপদে ফেলে যান, তাহলে লিটন দাস ফেলেছেন মহা বিপদে। কারণ, তিনি ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে খেলেছেন ৭ বলে মাত্র ২ রানের ইনিংস।
৪৬ রানে ২ উইকেট পড়ার পর জুটি বেধে দলকে উদ্ধারের কাজ করেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৯ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন।
এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তানজিদ হাসান তামিম; কিন্তু ইনিংসটাকে বড় করতে পারলেন না। ৬০ রানের মাথায় আউট হয়ে গেলেন। ৬০ বলে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায়।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী অনিক (উইকেটরক্ষক), রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিব।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ
ব্রেন্ডন কিং, এভিন লুইস, কিসি কার্টি, সাই হোপ (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), শেরফানে রাদারফোর্ড, রস্টোন চেজ, জাস্টিন গ্রিভস, রোমারিও শেফার্ড, গুদাকেশ মোতি, জাইডেন সিলস, অ্যালজারি জোসেফ।
আইএইচএস/