হাইব্রিড মডেল নিয়ে অবাক করা তথ্য দিলেন শোয়েব আখতার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ইস্যুতে সুর কিছুটা নরম করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তান ও ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের খবর, শর্ত সাপেক্ষে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে রাজি হয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি।
গেল ৩০ নভেম্বর পাকিস্তান অবজার্ভার এর খবরে বলা হয়েছিল, দুটি শর্ত পূরণ হলেই হাইব্রিড মডেলে খেলা আয়োজন করবে পিসিবি। প্রথমটি হলো- পিসিবিতে আইসিসির প্রদেয় রাজস্বের হার বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়- ভারত যদি এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না আসে, তাহলে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টগুলোতে অংশ নিতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান।
দুই দেশের শর্তের লড়াইয়ের মধ্যেই অবাক করা তথ্য দিলেন পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার শোয়েব আখতার। তিনি জানালেন, হাইব্রিড মডেল চুক্তি আগেই সই হয়ে গেছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে শোয়েব আখতার বলেন, ‘হাইব্রিড মডেল চুক্তি আরও আগেই সই হয়ে গেছে।’
Hybrid Model pehle decide ho gaya tha. Shoaib Akhtar
— iffi Raza (@Rizzvi73) December 1, 2024
VC PTV sports official pic.twitter.com/6nZEthwHH3
তবে এককভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে পিসিবির দাবিকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন শোয়েব। ভারত যদি সেটি না করে, তাহলে তাদের উচিত উচ্চ হারে পিসিবিকে রাজস্ব ভাগ দেওয়া।
শোয়েব বলেন, ‘আপনি আয়োজকস্বত্ব ও রাজস্বের জন্য অর্থ পাচ্ছেন। এটি ঠিক আছে- আমরা সবাই এটি বুঝতে পারি। পাকিস্তানের অবস্থানও যুক্তিসঙ্গত। তাদের একটি শক্তিশালী অবস্থান বজায় রাখা উচিত ছিল, কেন উচিত হবে না? একবার যদি আমরা আমাদের দেশে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে সক্ষম হই এবং তারা (ভারত) আসতে ইচ্ছুক না হয়, তাদের উচিত আমাদেরকে উচ্চ হারে রাজস্বের ভাগ দেওয়া। এটাই ভালো সিদ্ধান্ত।’
উল্লেখ, আইসিসির বর্তমান রাজস্ব কাঠামো অনুসারে ৩৭ শতাংশেরও বেশি রাজস্ব পায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। অন্যদিকে পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৫ শতাংশের কিছু বেশি। এ ব্যবধান কমানোর দাবিই করেছে পিসিবি।
তবে পিসিবির দ্বিতীয় শর্তের পক্ষপাতী নন শোয়েব। তিনি মনে করেন, বন্ধুত্ব বাড়াতে অবশ্যই পাকিস্তানের উচিত হবে ভারতে খেলতে যাওয়া। তবে জবাব হতে অন্য কৌশলে। ভারতকে তাদের মাটিতে গিয়ে হারিয়ে আসতে হবে পাকিস্তানের।
শোয়েব বলেন, ‘ভবিষ্যতে ভারতে খেলার ক্ষেত্রে আমাদের বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে সেখানে যাওয়া উচিত। বরাবরই আমার বিশ্বাস, ভারতে গিয়ে তাদের পরাজিত কর। ভারতে খেলুন ও তাদের ঘরের মাটিতে পরাজিত করুন।’
এমএইচ/জেআইএম