ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট
রেকর্ড গড়ে নিউজিল্যান্ডকে হারালো ইংল্যান্ড
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিনেই ফলাফল মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান করে দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। তখন কিউইদের লিড ছিল মাত্র ৪ রানের। এই লিড যে খুব বেশি বড় করতে পারবে না নিউজিল্যান্ড, তা ছিল অনুমিতই। শেষমেশ আজ শনিবার চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১০৪ রানের লক্ষ্য দিতে পারে নিউজিল্যান্ড।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় হেসেখেলেই জিতেছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের ক্রো-থর্প ট্রফিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ইংলিশরা। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি হাঁকান জ্যাকব বেথেল।
তৃতীয় দিন শেষে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন ড্যারিল মিচেল। আজ শনিবার চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে সেই ইনিংসকে ৮৪ রানে নিয়ে যায় ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার। মিচেলের লড়াকু ইনিংসের পরও নিউজিল্যান্ডকে থামতে হয় ২৫৪ রানে। আগের দিন কেন উইলিয়ামসনের ৬১ রান ছাড়া বলার আর কোনো ইনিংস ছিল না কিউইদের। এদিন বাকি ৪ উইকেটে ৯৯ রান তোলে স্বাগতিকরা।
১০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাজবল খেলে ইংল্যান্ড। জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে তারা খেলে টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। ১২.৪ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। হারায় মাত্র ২ উইকেট।
সবচেয়ে কম ওভারে একশ’র বেশি রানতাড়ায় জয় পাওয়ার রেকর্ড করেছে ইংল্যান্ড। এর আগে বাংলাদেশের দেওয়া ১০৯ রানের লক্ষ্য ১৮.৪ ওভারে পেরিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
জ্যাক ক্রাউলি আউট হন মাত্র ১ রান করে। ১৮ বলে ২৮ রান করেন বেন ডাকেট। ৩৭ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস খেলেন বেথেল। জো রুট অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ২৩ রান করে।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট (৪ ও ৬) শিকার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের পেসার ব্রাইডন কার্স। বিদেশের মাটিতে ১৬ বছর পর এই প্রথম ১০ উইকেট পেলেন কোনো ইংলিশ পেসার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ৩৪৮ ও ইংল্যান্ড ৪৯৯ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ৩৪৮ ও ২৫৪ (কেন উইলিয়ামসন ৬১, ড্যারিল মিচেল ৮৪, রাচিন রাবিন্দ্রা ২৪; ব্রাইডন কার্স ৬/৪২, ক্রিস ওকস ৩/৫৯)
ইংল্যান্ড: ইংল্যান্ড: ৪৯৯ ও ১০৪/২( জ্যাকব বেথেল ৫০*, বেন ডাকেট ২৭, জো রুট ২৩*; ম্যাট হেনরি ১/১২, উইল ও'রর্কে ১/২৭)
ফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেট জয়ী
ম্যাচসেরা: ব্রাইডন কার্স
এমএইচ/এএসএম