সাঁতারে ডিজিটাল স্কোরবোর্ড ‘দুঃখ’ কাটছেই না
সাঁতারের যে কোনো অনুষ্ঠানেই একটা প্রসঙ্গ উঠবেই। জিডিটাল স্কোরবোর্ডের কি অবস্থা? এমন প্রশ্ন প্রায়ই শুনতে হয় বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের।
শনিবার মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে শুরু হতে যাওয়া ৩৩তম ম্যাক্স গ্রুপ জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও এ নিয়ে অনেক কথা খরচ করতে হয়েছে ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম মিয়াকে।
তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো আশার কথা শোনাতে পারেননি। বল ঠেলে দিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোর্টে। সেটাই বাস্তবতা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদই তো ৫ বছর আগে স্থাপন করেছে অকেজো হয়ে থাকা এই স্কোরবোর্ড।
বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বদরুল সাইফ ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে দেশের বাইরে। ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক-১ (ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক) নিজেও এই সুইমিং কমপ্লেক্সের ইলেকট্রনিক্স স্কোরবোর্ডকে ‘দুঃখ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
২০১৯ সালে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড বসানো হলেও প্রতি বছরই সাঁতারুদের অনুশীলন ও ঘরোয়া প্রতিযোগিতা চলে হ্যান্ডটাইমিংয়ে। ব্যতিক্রম নেই এবারও। যথারীতি হ্যান্ডটাইমিংয়ে হবে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেছি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিবকে আমাদের ইলেকট্রনিকস স্কোর বোর্ডের বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। আপাতত এটা সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই আমাদের এবারও হ্যান্ডটাইমিংয়ে সাঁতার আয়োজন করতে হচ্ছে।’
এবারের জাতীয় সাঁতারের বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সুইমিং ক্লাব, বিকেএসপি, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ ও আনসারসহ ৫২ দলের ৫৫০ জন সাঁতারু পুরুষ ও মেয়েদের ৩৮টি ইভেন্টে অংশ নেবে। এছাড়া পুরুষ বিভাগে ডাইভিংয়ে ৩টি ও ওয়াটারপোলো ১টি ইভেন্ট রয়েছে। এবারের জাতীয় সাঁতারের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ম্যাক্স গ্রুপ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আবদুল হামিদ ও পৃষ্ঠপোষক গ্রুপের কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল পলাশ।
আরআই/আইএইচএস/