‘এটা মুলতানের পিচ নয় বেবি’, কামরানকে তিরস্কার ধারাভাষ্যকারের
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই খানিক আতঙ্কের। অস্ট্রেলিয়ার বিধ্বংসী পেসারদের মোকাবেলা করে এই মাঠে রান তোলা চাট্টিখানি কথা নয়। পাকিস্তানের বেলায় এটি আরও বেশি সত্য। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির ক্রিকেট ভালো ছন্দে নেই।
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই সেটি টের পেল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের তোপে ৪৬.৪ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হয়ে গেল সফরকারীরা।
দিবারাত্রির ওয়ানডেতে পাকিস্তান দলে হয়েছে দুই জনের অভিষেক। একজন কামরান গুলাম। অন্যজন মিডল-অর্ডার ব্যাটার ইরফান খান।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুলতান টেস্টে বাবর আজমের বদলি হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছিলেন কামরান। অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দারুণ আলোচনায় এসেছিলেন ডানহাতি পাক ব্যাটার। সঙ্গ পাকিস্তানিদের প্রত্যাশাও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সে কারণে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের ওয়ানডে দলে ডাক পান কামরান।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম ম্যাচ অর্থাৎ অভিষেকেই চরম ব্যর্থ হলেন কামরান। ৫ বলে ৪ রান করে প্যাট কামিন্সের বাউন্সারে উইকেট দিয়ে আসেন তিনি।
কামরানের পেস বল মোকাবেলার ধরণ দেখে তাকে তিরস্কার করেন অস্ট্রেলিয়ার ধারাভাষ্যকার কেরি ও’কেফে। তিনি বলেন, ‘এটা মুলতানের পিচ নয়, বেবি। এটা এমসিজি (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড)।’
ধারাভাষ্যকারের এই মন্তব্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসে পাকিস্তান ক্রিকেট ভক্তদের পক্ষ থেকে। তারা মনে করেন, এখানে অপ্রয়োজনীয় ‘খোঁচা’ দেওয়া হয়েছে পাক ব্যাটারকে।
শুধু এই মন্তব্য করেই থামেননি ধারাভাষ্যকাররা। কামরানের পরিবার নিয়েও কথা বলেন ওয়াসিম আকরাম ও মাইকেল ভন। তাদের আলোচনায় উঠে আসে কামরানের ১৬ ভাই-বোনের কথাও। যা নিয়ে সমালোচনা করেন নেটিজেনরা।
ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘কামরান গোলাম বড় পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তিনি ১২ ভাইয়ের মধ্যে ১১তম। তার আরও ৪ বোনও আছে।’
এরপর মাইকেল ভন বলেন, ‘১৬ জন। বাহ! বয়সের ব্যবধান কত, এটি কৌতুহলী বিষয়।’
ভনের এই মন্তব্যকেও ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তানের সমর্থকরা। খেলার মধ্যে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিষয় টেনে আনাকে মোটেই সমীচীন নয় বলে মনে করেন তারা।
এদিন পাকিস্তানের হয়ে মেলবোর্নের কঠিন ট্র্যাকে লড়াই করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ফিফটির কাছাকাছি (৭১ বলে ৪৪) গিয়ে মার্নাস লাবুশেনের বলে পাকিস্তান অধিনায়ক ধরা পড়েন উইকেটরক্ষকের হাতে। পাকিস্তানের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেন রিজওয়ান।
পাকিস্তানের ২০০ ছোঁয়ার কৃতিত্ব দিতে হবে দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে। স্টার্কের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৯ বলে ২৪ রান করেন শাহিন। শেষ দিকে দারুণ শটে ১ চার ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৪০ রান করেন নাসিম।
প্যাট কামিন্সের বলে নাসিম শাহ স্টার্কের হাতে ক্যাচ হলে ৪৬.৪ ওভারে ২০৩ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস।
১০ ওভার বল করে ৩৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ২টি করে উইকেট শিকার করেন প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা।
এমএইচ/এমএস