ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ভারতের বিরুদ্ধে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

আগামী ২২ নভেম্বর শুরু হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার লাল বলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের বর্ডার গাভাস্কার ট্রফি। তার আগেই বিতর্কে জড়ালো ভারত। অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকা ভারত ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে উঠলো বল টেম্পারিংয়ের (বল বিবৃতি) গুরুতর অভিযোগ।

ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন স্বয়ং অনফিল্ড আম্পায়ার শন ক্রেইগ। এরপর ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইশান কিশান আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে সংবেদনশীল মন্তব্য করেন। এরপর মাঠেই তাকে আচরণ নিয়ে সতর্ক করেন আম্পায়ার। তর্কে জড়ানোর অভিযোগে বড় শাস্তির মুখে পড়তে পারেন ভারতীয় ব্যাটার।

ঘটনাটি ভারত ‘এ’ দল ও অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের মধ্যকার তিনটি আনঅফিসিয়াল টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের। আজ রোববার ওই টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতেই অপ্রত্যাশিত এ ঘটনার আবির্ভাব।

প্রথম টেস্টের শেষ দিনে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৮৬ রান। কিন্তু নতুন দিনে ভারতীয় দলের হাতে যে বলটি তুলে দেন আম্পায়ার, সেটি ছিল পুরোপুরি নতুন বল। বল হাতে পেয়ে অবাক হন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।

বিষয়টি নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে যান ভারতীয়রা। সে সময় তাদের বিরুদ্ধে বল বিকৃতির অভিযোগ তোলেন আম্পায়ার।

ভারতীয় ক্রিকেটারদের উদ্দেশে ক্রেইগকে বলতে শোনা যায় যে, ‘তোমরা বলে আঁচড় কেটেছিলে। তাই আমরা বল বদলে দিয়েছি। এই নিয়ে কোনও আলোচনা নয়। যাও খেলো।’

পরে বিষয়টি নিয়ে তর্ক জাড়ান ইশান কিশানরা। আম্পায়ার তাদেরকে বলেন, ‘কোনো আলোচনা নয়। খেলায় মন দাও। এটা আলোচনার বিষয় নয়।’ বল পাল্টে দেওয়ার কথা বললে ক্রেইগ বলেন, ‘তোমাদের এই বলটিতেই খেলতে হবে।’

আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ইশান কিশান। তিনি বলেন, ‘ভীষণই বাজে সিদ্ধান্ত।’ ইশানের কথা শুনে রেগে যান আম্পায়ার। তিনি বলেন, ‘বিরক্তি দেখানোর জন্য তোমার বিরদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হবে। এটা মোটেও ভালো আচরণ নয়। তোমার দলের কাজের জন্যই আমরা বল বদলাতে বাধ্য হয়েছি।’

বিতর্কিত এই ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল। ভারতের ১০৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রান তোলে। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১২ রান তুললে জয়ের জন্য অজিদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২২৫ রানের। ৩ উইকেটে লক্ষ্য টপকে যায় অস্ট্রেলিয়া।

এমএইচ/এমএস