ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

কেন জাতীয় দলের কোচ হন না, কারণ জানালেন সালাউদ্দিন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১০:১০ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

ভিনদেশি কোচদের অধীনে জাতীয় দলের পারফরমেন্সের তেমন কোন উন্নতি হয়নি। তারপরও কোটি কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় দলের জন্য ভিনদেশি কোচিং স্টাফ নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি। এত টাকা খরচ করে একঝাঁক বিদেশি কোচ রাখার যৌক্তিকতা কী? তা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের মনেই।

তাই বিদেশী কোচ বাদ দিয়ে দেশি কোচ রাখলে ক্ষতি কী? জাতীয় দলে দেশি কোচের দাবি বহুদিনের। দেশি কোচদের মধ্যে মূলতঃ যে দু’জনার নাম বেশি উচ্চারিত হয়, তাদের অন্যতম মোহাম্মদ সালাউদ্দীন।

তিনি কেন জাতীয় দলে উপেক্ষিত? সে প্রশ্নও অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়। আজ শনিবার শেরে বাংলায় প্রচার মাধ্যমের সামনে আবারো সে প্রশ্নর মুখোমুখি হয়েছিলেন সাকিবের মেন্টর।

কেন জাতীয় দলে কাজ করেননি? এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সালাউদ্দীন মূলতঃ দুটি কারণ তুলে ধরেন। প্রথম কারণ অর্থনৈতিক। দ্বিতীয় কারণ সহকারী কোচ থাকাকালীন অনাদর ও অবহেলা।

কেন হয়নি? ‘এ কারণগুলো আমি আগেও একবার বলেছি। আমার সঙ্গে কথা হচ্ছে (এখন)। দেখি কী হয়।’

তারও যে জাতীয় দলে কাজ করতে ইচ্ছে করে না, এমন নয়। সালাউদ্দীনের ব্যাখ্যা, ‘একেবারে যে ইচ্ছে নাই, তা না। ইচ্ছে আছে। কিন্তু সবকিছুই তো মিলতে হবে। একটা জিনিস আপনাদের বুঝতে হবে, আমি বোর্ডের কর্মী না। আমি শেষ দশ বছর বা ১৫ বছর বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না।’

‘দীর্ঘ ১৫ বছর আমার পেট চালাতে হয়েছে বাইরের অর্গানাইজেশনের সঙ্গে। কোনো কিছু আমার হুট করে ফেলে আসাও সম্ভব না। আমি যদি বোর্ডের কোচ হতাম, যখন বলতো তখনই আমি ঢুকে যেতে পারতাম; কিন্তু এখানে তো আমার অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়।’

‘কারণ, তারা আমাকে এত বছর খাইয়েছে, পরিয়েছে। তাদেরকে তো আমি হুট করে ফেলে আসতে পারবো না। সবকিছু একটা সময়ের ব্যাপার এবং চিন্তা-ভাবনার ব্যাপার। সবকিছু যেন সুন্দর হয়, এটা হলে সবার জন্যই ভালো হবে।’

শুধু অর্থনেতিক কারণেই যে তার জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করা হয়নি, তা নয়। আজ শনিবার একটি নতুন কারণ জানিয়েছেন সালাউদ্দীন। জাতীয় দলের সহকারি কোচের দায়িত্ব পালন করে একবার তাকেও হুট করে ‘না’ করে দেয়া হয়েছিল। সে আঘাতটাও তাকে কষ্ট দেয়।

তাইতো মুখে এমন কথা সালাউদ্দীনের, ‘দেখুন, সবকিছু যে অর্থনৈতিক ব্যাপার তা না। আমার একটা বাজে অভিজ্ঞতা কিন্তু আগে হয়েছে। আমি যখন সহকারী কোচ ছিলাম, তখন আমার একটা বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটা হয়তো আমার মনের ভেতর এখনও আছে। যেহেতু আমি তখন সহকারী কোচ ছিলাম, হঠাৎ করে আমাকে কেউ জানে না, আমি বাসায় বসে টিভিতে দেখবো বাচ্চা কোলে নিয়ে; সেটা তো আমাকে হিট করতেই পারে।’

কোচ সালাউদ্দীনের অনুভব, কোচ নিয়োগ ও তাকে না রাখার একটি সুষ্ঠু নীতিমালা থাকা উচিৎ। তার ভাষায়, আসলে একটা প্রসেস থাকা উচিত। যখন আপনি আমাকে রাখবেন না, তখন আমাদের বিদায়েরও একটা প্রক্রিয়া থাকবে। যেকোনো অফিসে একটা অফিশিয়াল প্রসিডিউর থাকে।

যেমন আপনারা হাথুরুসিংহেকে বাদ দিয়েছেন, তাকে তো জানিয়ে নিয়েছেন যে তুমি থাকবা না। আমাদের সময় কেন এমন হবে। আমি দেশি দেখেই হয়তো এরকম হয়েছে। অনেক সময় সম্মানটা একটা বড় ফ্যাক্টর। আপনাকে সেভাবে যদি গুরুত্ব না দেওয়া হয়, ট্রিট করা না হয়; তখন অনেক সময় অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়।’

এআরবি/আইএইচএস