ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

যে কারণে রেজিস্টার ডাকযোগে বোর্ড সভার আমন্ত্রণ বিসিবির

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ধরে নেওয়া যায়, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সমর্থন ও মদদপুষ্ট এবং আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কেউই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) থাকবেন না। নিজ থেকেই সরে দাঁড়াবেন। কেউ কেউ এরইমধ্যে পদত্যাগও করেছেন।

পাশাপাশি ঢাকার ক্লাব কোটা ও অন্য কোটায় বেশ কয়েকজন পরিচালক আছেন, যারা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। তাদের মধ্যে আহমেদ নজিব, মঞ্জুর কাদের, গোলাম মোস্তফা পাপ্পা ও ইসমাইল হায়দার মল্লিক অন্যতম। যারা ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আর বোর্ডে আসেননি। বোর্ডের কোনো সভায় অংশও নেননি।

একইভাবে আ জ ম নাসির, এনায়েত হোসেন সিরাজ, ওবায়েদ নিজাম, অ্যাডভোকেট আনোয়ারও এখন পর্যন্ত কোনো বোর্ড সভায় যোগ দেননি।

আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় সভায় বসবে ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, পরপর বিনা নোটিশে ও উপযুক্ত কারণ ছাড়া তিনটি বোর্ড সভায় অংশ না নিলে পরিচালক পদ বাতিল হয়ে যেতে পারে।

উপরে যাদের নাম বলা হয়েছে, আজকের বোর্ড সভায় না আসলে তারা পরপর তিন বোর্ড সভায় অনুপস্থিত বলে গণ্য হবেন। খুব স্বাভাবিকভাবে তখন তাদের পরিচালক পদ বাতিল হওয়ার মতো পরিস্থিতির উদ্রেক ঘটবে। এখন দেখার বিষয়, তাদের ব্যাপারে আজকের সভায় কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?

বিসিবির গঠনতন্ত্রে বলা আছে, ঢাকার ক্লাবগুলো যেকোনো সময় তাদের কাউন্সিলরশিপ বদলাতে পারে। উপরে যাদের নাম বলা হলো, তাদের সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলো কাউন্সিলরশিপ বাতিল করে নতুন কাউন্সিলর নিয়োগ দিলে সেই নতুন কাউন্সিলরদের মধ্য থেকেও নতুন বোর্ড পরিচালক হতে পারবেন।

কাজেই এজেন্ডাবিহীন আজকের বোর্ড সভায় হয়তো সরকার পতনের পর সেই সব অনুপস্থিত ও অকার্যকর পরিচালকদের বিষয়েই আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। এ বিষয়ে একটি প্রমাণও মিলেছে।

আজকের বোর্ড সভার কথা জানিয়ে বোর্ড পরিচালকদের রেজিস্টার ডাকযোগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগের মতো ও চিরায়ত ধারা মেনে মোবাইল ফোন অথবা বার্তা আদানপ্রদানকারী পরিষেবা হোয়াটসঅ্যাপ বা ম্যাসেঞ্জারে জানানো হয়নি।

কেন রেজিস্টার ডাকযোগে চিঠি দেওয়া হলো? কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এক তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা।

হোয়াটসঅ্যাপ ও এমন অন্য মাধ্যমে বার্তা পাঠানো আইনসিদ্ধ নয়। অন্যদিকে রেজিস্টার ডাক মানেই দালিলিক প্রমাণ। তাতে করে কোনো পরিচালক পরে বলতে পারবেন না, তাকে বোর্ড মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার কথা জানানো হয়নি।

অনেকে অভিযোগ করে বলতে পারেন, ২৭ সেপ্টেম্বরের বোর্ড পরিচালক পর্ষদে তাকে ডাকা হয়নি বা ডাকলেও হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে পাঠানো হয়েছিল; তা সে পায়নি। এমনকি ওই ম্যাসেজ তার চোখে পড়েনি, এমন অভিযোগও আসতে পারে।

কোনো পরিচালক যেন আইনি প্রক্রিয়ায় গিয়ে এমন অভিযোগ তুলতে না পারেন, সেজন্যই এই কৌশল প্রয়োগ করেছে বোর্ড।

এখন রেজিস্টার ডাকযোগে মিটিংয়ের চিঠি দেওয়ায় এমন অভিযোগ তোলার কোনো সুযোগ থাকবে না। কেউ বলতে পারবেন না যে, বৃস্পতিবারের বোর্ড মিটিংয়ের খবর তিনি জানেন না। সে পথ বন্ধ করতেই বৃহস্পতিবারের বোর্ড পরিচালক সভার আমন্ত্রণটা রেজিস্টার ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।

এআরবি/এমএইচ/এএসএম