ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

চা-বিরতি পর্যন্ত ব্যাট করুক, সেটাই ছিল ফাহিমের আশা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রোহিত শর্মা যখন তৃতীয় দিন চা বিরতির কিছুক্ষণ আগে ৫১৪ রানে এগিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করলেন, তখনই বাংলাদেশের বড় পরাজয়ের শঙ্কা জেগে বসেছিল। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, অনিবার্য পরাজয়ের মুখে বাংলাদেশ।

পরাজয় যেহেতু অনেকটাই নিশ্চিত ছিল, বিশাল লক্ষ্যের পিছু ধেয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল কতটা কী করতে পারে, সেটাই ছিল দেখার। হতাশ করেছে টাইগাররা। ভারত জিতেছে ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে।

সাকিব-মুশফিকদের বিকেএসপির গুরু ও বর্তমান বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম চেন্নাই টেস্ট দেখতে উপস্থিত ছিলেন মাঠে। তিনি আশায় ছিলেন, আজ রোববার চতুর্থ দিন অন্তত চা-বিরতি পর্যন্ত ব্যাট করবে বাংলাদেশ। কিন্তু শান্তর দল সকালের সেশনেই গুটিয়ে যায়।

জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে ফাহিম বলেন, ‘আমার আশা ছিল আজ রোববার চতুর্থ দিন অন্তত চা-বিরতি পর্যন্ত খেলাটাকে নিয়ে যাবে শান্ত, সাকিব, লিটন, মিরাজরা। আমি জানতাম পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। এখান থেকে ম্যাচ বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। তারপরও মনে হচ্ছিল যদি আমাদের ছেলেরা তাদের ক্যারেক্টার শো করতে পারে। অন্তত চা-বিরতি পর্যন্ত ব্যাট করতে পারে, তাহলে মনটাকে সান্ত্বনা দিতে পারবো। সেটাও একটা অন্যরকম অর্জন হতো। সবাই বুঝতো ৫১৫ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্যের পিছু ধেয়ে আড়াই দিনের দেড় দিন ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। সেটা পরের টেস্টের জন্য একটা সঞ্চয় ও পাথেয় হতো।’

কিন্তু তাতে কি ব্যবধান খুব কমতো? আজ চতুর্থ দিন দুই সেশনে ৪ ঘণ্টা ব্যাট করলে সর্বোচ্চ দেড়শো থেকে পৌনে দুশো রান উঠতো, তারপরওতো দেড়শোর বেশি ব্যবধানে হারতে হতো।

ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘আসলে আমি সেটা ধরেই বলেছি। চতুর্থ দিন চা-বিরতি পর্যন্ত খেলে অলআউট হলেও ব্যবধানের তারতম্যটা বড়ই থাকতো। তারপরও আমি আশায় ছিলাম, আমরা যদি চতুর্থ দিনের পিচে ভারতের এই ধারালো, অভিজ্ঞ আর অতি কার্যকর বোলিংয়ের বিপক্ষে দুই সেশন খেলতে পারি, সেটাও একটা অন্যরকম মানসিক স্বস্তির হবে।’

ফাহিম জানতেন, সে কাজটা করাও মোটেই সহজ হবে না। তাই মুখে অমন কথা, ‘খুব ভালো করেই জানতাম, ভারতীয়রা কিছুতেই আমাদের ওই ২ সেশন উইকেটে থাকতে দেবে না। ক্রমাগত চাপে রাখবে। সে চাপ সহ্য করে উইকেট কামড়ে পড়ে থাকা খুব কঠিন হবে।’

লিটন-মিরাজ রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিপদের মুখে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন। ২৬ রানে ৬ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে খাদের কিনারায় পড়ে থেকেও ১৬৫ রানের বিরাট জুটি গড়ে দলকে টেনে তুলেছিল তারা।

তবে ফাহিম ভারতের বিপক্ষে লিটন-মিরাজ নয়, আশা করেছিলেন শান্ত আর সাকিবের ওপর। তার কথা, ‘লিটন রাওয়ালপিন্ডিতে দারুণ সেঞ্চুরি (১৩৮) করেছিল। মিরাজও ৭০‘র ঘরে (৭৮) পা রেখেছিল। তবু আমি এ টেস্টের শেষ ইনিংসে মানে আজকে সাকিব ও শান্তর ওপর বেশি নির্ভর করেছিলাম। আমার মন বলছিল, এ ম্যাচের এ ইনিংসে বাংলাদেশ যদি বড় সময় ব্যাট করতে পারে, তাহলে শান্ত ও সাকিবের জুটিটাই লম্বা হতে হবে। কারণ তারা আগের দিন একটা কঠিন সময় পার করে এসেছে। আজকে রোববারও প্রথম আধঘণ্টার সেই শক্ত চাপটা সহ্য করে খানিকটা পথ এগিয়েছে। কিন্তু জুটিটা লম্বা হলো না। আর তা না হওয়ায় ইনিংসটা গুটিয়ে গেল অল্প সময়ে।’

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম