ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

কোচ-মাঠ-আম্পায়ারসহ পুরো সিস্টেমেরই উন্নতি চান ফারুক

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা নাজমুল হোসেন শান্তর দল বিসিবি থেকে চুক্তি অনুযায়ী প্রাপ্য বোনাস পেলেন। আজ শনিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের হাত থেকে সে পুরস্কারের অর্থ গ্রহণ করেন ক্রিকেটাররা।

সে অনুষ্ঠানে স্টিল ফটোগ্রাফির জন্য ফটো জার্নালিস্ট আর আর ভিডিও ক্লিপসের জন্য ক্যামেরা ক্রু ছাড়া আর কোনো মিডিয়া ফ্যাসিলিটিজ মানে সংবাদ সম্মেলন বা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতা থাকবে না, বিসিবি থেকে আগেই জানানো হয়েছিল।

তবে বোনাস মানি প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ৩টি প্রশ্নের জবাব দেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেখানে বিসিবি প্রধান বোনাস মানি প্রদান এবং তার নিজের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা এবং তামিম ইকবাল কেন বৃহস্পতিবার ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার চা চক্রে উপস্থিত ছিলেন সে বিষয়টাও পরিষ্কার করেছেন।

পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের পর ক্রিকেটারদের পাঁচ তারকা হোটেলে ঘটা করে উইনিং বোনাস দেওয়া সম্পর্কে বিসিবি প্রধানের ব্যাখ্যা, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের চুক্তিতে একটা উইনিং বোনাস আছে। ওটা এখন যত দ্রুত সম্ভব দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এটাই মূল অনুষ্ঠান ছিল। ক্রিকেটাররা ওদের এই পুরস্কারের অংশ থেকে বন্যাদুর্গত ও ছাত্র জনতার মধ্যে যারা কঠিন সময় পার করেছে, ওদের জন্য দিবে। আর একটা উদ্দেশ্য ছিল ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করা। দুইটা টেস্ট ম্যাচ জিতেছে, সিরিজ জয় আছে; সবগুলোর আলাদা আলাদা ভাগ আছে এই পুরস্কারে।’

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে কতটা ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, এমন প্রশ্নে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি সভাপতি হিসেবে বলতে পারি একটা-দুইটা জয়ের থেকে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে যদি একটা ভালো মানে নিয়ে যেতে পারি। যেখান থেকে নিয়মিত জয় আসবে এবং দল একটা পর্যায়ে উঠবে। যেমন বাংলাদেশকে ওয়ানডেতে এখন সবাই মনে করে শক্তিশালী দল, যদিও গত বিশ্বকাপে আমরা আশানুরূপ খেলতে পারিনি। কিন্তু খেলায় তো হার-জিত থাকবেই।’

এরই মধ্যে আইসিসি আর এসিসির সভায় যোগদানের জন্য দুই দফা বিদেশ যাওয়ার দিনগুলো ছাড়া, দায়িত্ব পাওয়ার পর গত দুই-তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রায় প্রতিদিন বিসিবিতে অফিস করছেন ফারুক আহমেদ। দুপুরের আগে বোর্ডে এসে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজে থাকতে দেখা গেছে তাকে।

ফারুক আহমেদের উপলব্ধি, বিসিবিতে কাজ করার সুযোগ অনেক জায়গায় আছে। এবং বোর্ড সভাপতি হিসেবে তার লক্ষ্য হলো, বিসিবির পুরো সিস্টেমে উন্নতি ঘটানো।

ফারুকের কথা, ‘আমাকে এমনিতেই একটু বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে। আমি তো চাই শুধু ক্রিকেট উন্নতিতে বেশি কাজ করতে। যখন একটা বোর্ডের পরিধি যখন বিশাল হয়ে যায়, তখন বিভিন্ন বিভাগ বড় আকার ধারণ করে। সেদিকে আমি সংস্কার বলব না, আমি একটা সিস্টেম উন্নতির দিকে তাকাবো।’

তার দৃষ্টিতে মাঠ, কোচ আম্পায়ারিংও অনেকটা জায়গাজুড়ে আছে। বিসিবি প্রধানের কথা, ‘বিশেষ করে কোচ, মাঠ, আম্পায়ারের দিকে মূল নজর দিব। এসব জায়গায় ফোকাস কম। মাঠ ভালো হলে ক্রিকেটারদের ভালো খেলা দেখা যায়। আম্পায়ারের একটা সিদ্ধান্তের জন্য ভালো ক্রিকেটার ব্যাকফুটে চলে যায়। আর ভালো কিউরেটর। এসব জায়গায় নজর দিলে... তাহলে ওই জায়গা থেকে তিন-পাঁচ বছর বলব না, তবে সিস্টেম চালু হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট উন্নতি করবে।’

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম