১৭২ রানে অলআউট পাকিস্তান, জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৮৫
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট পাকিস্তান। নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদের তোপের মুখে মাত্র ৪৬.৪ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে স্বাগতিকরা।
দুই ম্যাচের সিরিজের শেষ টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৮৫ রান। এছাড়া ড্র করতে পারলে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ড করবে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের সর্বশেষ উইকেট শিকার করে ফাইফার পূর্ণ করেছেন হাসান। পঞ্চম উদযাপনে হাসানকে একটু সময় নিতে হলো। অন-ফিল্ড আম্পায়ার এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত দিলেও রিভিউ নেন মীর হামজা। তৃতীয় আম্পায়ারও জানালেন এটি আউট। হামজার (১০ বলে ৪) বিদায় নিশ্চিত হলে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফার উদযাপন করেন হাসান। ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন সালমান আলি আগা।
সোমবার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। তখন স্বাগতিকদের লিড ছিল ১২ রানের।
দিনের শুরুতে দেখেশুনে ব্যাটিং করে পাকিস্তান। ৩৮ রানের জুটি করেন সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদ। তাসকিন আহমেদ ২০ রান নিয়ে খেলা সাইমকে ফেরালে জুটি ভাঙে। ডানহাতি পেসারের ফুল লেন্থের বল মিড অফে ড্রাইভ করছিলেন সাইম। বাঁপাশে সামান্য ঝাঁপিয়ে পড়ে বল তালুবন্দি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান।
দল চাপে থাকলেও স্বভাবসুলভ হয়ে ওয়ানডে মেজাজেই খেলছিলেন মাসুদ। সতর্কতার পাশাপাশি বাউন্ডারিও নিচ্ছিলেন তিনি। তবে পাকিস্তান অধিনায়কের বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলার তত্ত্ব বেশিক্ষণ কার্যকর হতে দেননি নাহিদ রানা। শর্ট লেন্থের বল দিয়ে মাসুদকে (৩৪ বলে ২৮) উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানান টাইগার পেসার।
ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে বাবরের উইকেটও তুলে নেন রানা। প্রথম স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতের ক্যাচ হন বাবর (১৮ বলে ১১)।
এরপর সউদ শাকিলকে সাজঘরের পথ দেখান রানা। তাকে বিহাইন্ড দ্য উইকেটে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে তৃতীয় শিকার তুলে নেন টাইগার পেসার। মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক। ৮১ রানেই ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
এরপর পাকিস্তানকে টেনে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সালমান আলি আগাকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি করেন তিনি। যে কারণে রিজওয়ান হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের পথের কাঁটা। হঠাৎ জোড়া আঘাত করেন হাসান মাহমুদ।
ফিফটির দিকে (৭৩ বলে ৪৩) ছুটতে থাকা রিজওয়ানকে লিটনের ক্যাচ বানান হাসান। পরের বলেই নতুন ব্যাটার মোহাম্মদ আলিকে (১ বলে ০) শান্তর তালুতে বন্দি করেন টাইগার পেসার। ওভার শেষ হওয়ার কারণে হ্যাটট্রিক বল করতে পারেননি তিনি। সাকিব আল হাসানের ওভারকে স্যান্ডউইচ বানিয়ে পরের ওভারে বোলিং আসলেও হ্যাটট্রিক পাননি ডানহাতি পেসার।
এরপর আবরার আহমেদকে (১২ বলে ২) ইনিংসের চতুর্থ শিকার বানান রানা। তাকে শান্তর ক্যাচ বানান এই ডানহাতি।
বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ নেন ৫ উইকেট। আরেক পেসার নাহিদ রানা শিকার করেন ৪ উইকেট। বাকি ১ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
এমএইচ/এএসএম