ক্যারিবীয় অঞ্চলের সর্বোচ্চ সম্মাননা পেলেন ক্লাইভ লয়েড
১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম দুটি শিরোপাই জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এটি সবারই জানা। ক্রিকেটবিশ্বে ক্যারিবীয়দের দুর্দান্ত উত্থানের পেছনের নায়ক ক্লাইভ লয়েডকেও ভুলে যাওয়ার সুযোগ নেই ক্রিকেটভক্তদের।
সত্তর ও আশির দশকে ক্রিকেটকে ক্রীড়াজগতের শীর্ষে তুলে ধরা লয়েড এবার অর্ডার অব দ্য ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি (ওসিসি) পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এটিই ক্যারিবীয়ান অঞ্চলের সর্বোচ্চ সম্মাননা।
কনফারেন্স অব দা হেডস অব দা ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি (ক্যারিকম) ৪৭তম নিয়মিত সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পুরস্কার জিতে ক্রিকেটবিশ্বের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন লয়েড। তিনি বলেন, ‘আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পেরে এবং আমাকে অর্ডার অব দা ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির যোগ্য হিসেবে বিবেচনায় করায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। এই অঞ্চলের প্রতি আমার কাজের জন্য এই স্বীকৃতি দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।’
১৯৬৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১১০ টেস্ট ও ৮৭টি ওয়ানডে খেলেছেন লয়েড। লাল বলের ক্রিকেটে ১৯ সেঞ্চুরিতে ৪৬.৬৭ গড়ে ৭ হাজার ৫১৫ রান করেছেন লয়েড। আর ওয়ানডেতে ৩৯.৫৪ গড়ে ১ হাজার ৯৭৭ রান করেন এই কিংবদন্তি।
১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ৮২ বলে ১০২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন লয়েড। সেই ইনিংসকে এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ইনিংসগুলোর একটি বলে ধরা হয়।
ক্যারিকমের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সভাপতি ড. কিশোর শ্যালো। তিনি বলেছেন, ‘এই পুরস্কার এমন একজন মানুষের প্রতি যোগ্য নিবেদন, যিনি শুধু ক্রিকেটেই উৎকর্ষের প্রতীক নন, এই বিশ্ব এবং ক্যারিবিয়ানদের জন্যও নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণার স্তম্ভ। ক্রিকেটে স্যার ক্লাইভের অবদান এবং এই খেলাটির উন্নয়নে তার নিবেদন সত্যিকার অর্থেই অতুলনীয়।’
এমএইচ/জেআইএম