সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ভবিষ্যৎ নিয়ে যা বললেন জালাল ইউনুস
জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে সাকিব আল হাসান কি শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে ফেললেন? দেশের হয়ে আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন না ‘চ্যাম্পিয়ন’ অলরাউন্ডার? ফ্র্যাঞ্জাইজি ও অন্যান্য আসরে অংশ নিলেও টিম বাংলাদেশের হয়ে কি আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে দেখা যাবে না সাকিবকে?
ঠিক চাউর হয়নি। আবার এমন প্রশ্নে ক্রিকেটাঙ্গন মুখরিতও নয়। তবে কারো কারো মুখে এমন প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে। এমন প্রশ্ন ওঠার কারণ সাকিবের পারফরম্যান্স। ব্যাট হাতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬৪ রান করা ছাড়া বিশ্বকাপে বাকি ৬ খেলায় সাকিবের সর্বোচ্চ হলো ১৭। মোট রান ১১১। আর উইকেট মোটেই ৩টি। ৫ খেলায় কোনো উইকেটই পাননি।
সাকিবের এত অনুজ্জ্বল রূপ কে দেখেছে কবে? প্রায় একই অবস্থা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও। এ অভিজ্ঞ যোদ্ধাও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একদিক আগলে রেখে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেও বাকি একটি ম্যাচেও ভূমিকা রাখতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। এক কথায় ব্যর্থতার ঘানি টেনেছেন। এ দুই সিনিয়র ক্রিকেটার ও নির্ভরযোগ্য পারফরমারের এ অকার্যকর পারফরম্যান্স বোর্ড কিভাবে দেখছে?
সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্সে বিসিবি কি সন্তুষ্ট? তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে বোর্ড কী ভাবছে? এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার জালাল ইউনুস বলেন, ‘সাকিবের ট-টোয়েন্টি না খেলার ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। সে তো তিন ফরম্যাটেই খেলছে।সামনে দেখা যাক। তিন ফরম্যাটে যে খেলাগুলো আছে, সেখানে তো ডেফিনিটলি খেলবে।’
সাকিব-রিয়াদের পারফরম্যান্স নিয়েও জালাল কোনোরকম নেতিবাচক মন্তব্য করেননি। এই ২ জন সিনিয়র ক্রিকেটার আগামীতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলে থাকবেন কিনা, তাও নিশ্চিত করে বলেননি বিসিবি ক্রিকেট অপস প্রধান।
তার কৌশলী কথা, ‘সাকিব-রিয়াদ আমি কারও নাম নিয়ে বলছি না। যারা পারফর্ম করে সামনে আসবে, তারাই খেলবে। যারা এখন খেলছে দলের মধ্যে, আমি মনে করি পারফরম্যান্স দিয়ে এসেছে। আমরা সবাইকে ওইভাবে মূল্যায়ন করতে চাই। যারা এখানে টি-টোয়েন্টিতে গিয়েছে, প্রত্যেকজন কিন্তু ওইভাবে সামর্থ্য দেখিয়ে টিমে ছিল এবং আশা করি, ভবিষ্যতে যে টিমগুলো হবে নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে আসবে।’
এআরবি/এমএমআর/