হাথুরুর সেই মন্তব্য খুঁটিয়ে দেখা হবে: জালাল
বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগিদের একটাই কথা, কোটি কোটি টাকা খরচ করে আনা ভিনদেশি কোচরা কী করেন? তাদের পিছনে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়, তার আউটপুট কী?
খালি চোখে ভিনদেশি কোচদের তেমন প্রাপ্তি নেই। বেশির ভাগ অভিযোগের তীর মূলত প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দিকেই। সেভাবে দলকে উজ্জীবিত করতে না পারার অভিযোগও আছে প্রধান কোচের ওপর। তার ওপর মাঝে-মধ্যেই এটা ওটা বলে বিতর্কে জড়ান টাইগার হেড কোচ।
এবার গ্রুপ পর্বের পর এক মন্তব্য করে শুধু বিতর্কেই জড়াননি, বরং দলের ক্ষতিও করে ফেলেছেন হাথুরু। গ্রুপ পর্বের পর মিডিয়ার সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলে বসেন, ‘আমাদের যা লক্ষ্য ছিল, তা পূরণ হয়েছে। এখন সুপার এইটে যা হবে, তা হবে বোনাস।’
তার এমন মন্তব্যের পর দলের ভাল খেলার দৃঢ় সংকল্প ও আন্তরিক ইচ্ছে খানিক কমে যাওয়ারই কথা। অনেক বোদ্ধা বিশেষজ্ঞর মতও তাই। তা নিয়ে বোর্ডের ভেতরকার অনুভূতি কী? বিসিবি কী তা খুটিয়ে দেখবে?
বিশ্বকাপের মাঝামাঝি উদ্দীপক কথা-বার্তা বলা যার কাজ হওয়া উচিৎ ছিল, সেই প্রধান প্রশিক্ষক যদি এমন বেফাঁস মন্তব্য করে দলকে চাঙ্গা, উজ্জীবিত করার পরিবর্তে ভাল খেলার ইচ্ছে কমিয়ে ফেলেন, সেটা কি গ্রহণযোগ্য? কোচ হাথুরুসিংহের এমন মন্তব্যের ব্যাপারটা বোর্ড কিভাবে দেখছে?
সরাসরি না হলেও শনিবার বিকেলে এ প্রশ্নের জবাবে বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, সেটাও খুঁটিয়ে দেখা হবে। জালালের মন্তব্য, ‘কোচদের এমন কোনো একটা ভুল ছিল কি না দেখা দরকার। বা কারও উক্তিতে কারও সমস্যা হয়েছে কি না সেটাও দেখার দরকার আছে।’
জালাল যোগ করেন, ‘দেখেন দিনের শেষে সবাই চেষ্টা করে ভালো করার জন্য। ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। কেন ভুলভ্রান্তি হলো সেটা বের করতে হবে আমাদের। এখন আপনি যদি বলেন টিম ম্যানেজমেন্ট, যেটাকে আমরা কোচিং স্টাফ বুঝাই, তাদের এখানে কোনো গাফিলতি আছে কি না, অথবা প্লেয়ারদের মধ্যে কোনো কমিউনিকেশন গ্যাপ হচ্ছে কি না, সে রকম কোনো সমস্যা হয়েছে কি না আমাদের জানা দরকার। এটা আমাদের জানতে হবে যে তাদের মধ্যে কোনো গ্যাপ ছিল কি না। হতে পারে হয়তো কোচিং স্টাফ থেকে বলেন, স্পেশালি যখন একটা টিম মাঠে নামে ক্যাপ্টেন ও কোচেরই সিদ্ধান্ত থাকে বেশি। ক্যাপ্টেন ও কোচের মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল কি না- সিদ্ধান্ত দেখেন একটা নিতেই হয়। নিলে হয়তো ভুলও হতে পারে আবার ঠিকও হতে পারে। এইটুকু রিস্ক তো সবাইকে নিতে হবে।’
এআরবি/আইএইচএস