কার্লোস ব্র্যাথওয়েট: রিমেম্বার দ্য নেম!
ইয়ান বিশপের ভরাট কণ্ঠে জোর বাড়লো যেন আরও। ইডেন গার্ডেন্সের ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে চিৎকার করে তিনি বলে উঠলেন, ‘কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, রিমেম্বার দ্য নেম!’ বিশপ হয়তো তখনও জানতেন না, তার বলা কথাটুকু ঢুকে যাবে ক্রিকেটের চিরায়ত লোকগাঁথায়।
প্রথম দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক শিরোপা হয়ে থেকেছিল দূর আকাশের তারা। ২০১২তে এসে তারা অবশ্য জিতে যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা, শেষ হয় তাদের দীর্ঘ অপেক্ষা।
এরপর ২০১৬তেও তারা জায়গা করে নেয় ফাইনালে। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। কিন্তু ওই রান তাড়া করতে নেমেও বেশ বিপদেই পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মার্লন স্যামুয়েলস একপ্রান্ত আগলে থাকেন; কিন্তু অন্যপ্রান্তে নিয়মিত পড়ে উইকেট।
এ অবস্থায় শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ১৯ রানের। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান তখন বল তুলে দেন বেন স্টোকসের হাতে। বিশ্বকাপ শিরোপার সঙ্গে দূরত্ব তখন ৬ বল আর ১৯ রানের।
স্ট্রাইকে কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তার আরেক পাশে তখন ৮৫ রান করে অপরাজিত স্যামুয়েলস। তাকে স্ট্রাইক দেওয়াটাই হয়তো ভাবনায় ছিল অনেকের; কিন্তু ওই ওভারে তাকে থাকতে হয়েছে কেবলই দর্শক হয়ে।
আট নম্বর ব্যাটার হিসেবে খেলতে নেমে বিস্ময়ের জন্ম দেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। স্টোকসকে টানা চার ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে বিশ্বকাপ জেতান তিনি। আরেক প্রান্তে তখন মুখ লুকানোর চেষ্টায় ছিলেন স্টোকস, ইংল্যান্ডের পুরো দলেই ছিল হতাশার ছাপ।
বহু বছর পরেও ব্র্যাথওয়েটের এই কীর্তি ভোলেনি কেউ। সেটিকে আরও বেশি অমর করে রেখেছে ইয়ান বিশপের বলা, ‘কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, রিমেম্বার দ্য নেম!’ বাক্যটুকু। বিশ্বকাপের বিস্ময় হিসেবে অমরত্বও পেয়ে গেছে ব্র্যাথওয়েটের ক্রিকেটীয় কীর্তি আর বিশপের সেই কণ্ঠ।
আইএইচএস/