ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

বিশ্বকাপে বিধ্বংসী হেনরিক ক্লাসেনকে দেখতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১২ পিএম, ৩০ মে ২০২৪

তার ক্রিকেটের পথচলা ছিল না প্রথাগত। দক্ষিণ আফ্রিকার বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলেননি। কলেজে উঠে ক্রিকেটের হাতেখড়ি, এরপর হেনরিক ক্লাসেনের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০১২-১৩ মৌসুমে নর্দানসের হয়ে। ধীরে ধীরে তিনি চলে আসেন ক্রিকেটের মূল স্রোতে।

নানা পথ পাড়ি দিয়ে ক্লাসেন এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় সাদা বলের ক্রিকেটে বড় নাম। মিডল অর্ডারে, বিশেষত স্পিনারদের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী হয়ে ওঠে তার ব্যাট। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় তারকাদের একজন তিনি। প্রোটিয়াদের ‘চোকার্স’ তকমা ঘুচিয়ে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার স্বাদ এনে দেওয়ার গুরু দায়িত্ব থাকবে তার কাঁধে।

এখন মিডল অর্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও ক্লাসেনের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ওপেনার হিসেবে। ২০১৮ সালে কুইন্টন ডি ককের চোটে ভারতের বিপক্ষে তার অভিষেক হয় উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই জাত চেনান ক্লাসেন। ভারতের বিপক্ষে ৩০ বলে ৬৯ রান করে হন ম্যান অব দ্যা ম্যাচ।

এরপর তার জন্য খুলে যায় আইপিএলের দরজাও। স্টিভেন স্মিথ স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারিতে এক বছর নিষিদ্ধ হলে তাকে কিনে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। প্রথম মৌসুমে মাত্র চারটি ম্যাচই খেলেছিলেন তিনি। পরের বছর নিলাম থেকে ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ রুপি দিয়ে ক্লাসেনকে কেনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে বেশির ভাগ সময়ই তাকে কাটাতে হয়েছে মাঠের বাইরে।

হেনরিক ক্লাসেন: টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার

ম্যাচ

ইনিংস

অপরাজিত

রান

সর্বোচ্চ

গড়

স্ট্রা. রেট

১০০

৫০

৪৩

৩৯

৭২২

৮১

২২.৫৬

১৪৭.৬৪

৫৯

৩৩

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স 

ম্যাচ

ইনিংস

অপরাজিত

রান

সর্বোচ্চ

গড়

স্ট্রা. রেট

১০০

৫০

৪৯

২১

১৬.৩৩

১২২.৫০

এদিকে জাতীয় দলেও খুব বেশি সুযোগ মিলছিল না নিজেকে চেনানোর। ২০২১ ও ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াডে থাকলেও সবমিলিয়ে ম্যাচ খেলেন কেবল চারটি। ক্লাসেনের ভাগ্য বদলে যায় ২০২৩ সালে এসে।

বছরের শুরুতে এসএ টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সবার নজর কাড়েন। এরপর আইপিএলে নিজের সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজি বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেও সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাট থেকে। ওই মৌসুমে স্পিনারদের বিপক্ষে দুইশ স্ট্রাইক রেটে রান করেন তিনি।

এরপর ওই বছরের শেষদিকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ১০ ম্যাচে ৩৭৩ রান করেন ক্লাসেন। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার উপরে থাকা কেউই প্রোটিয়া ব্যাটারের চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটে রান করেননি। এবারের আইপিএলেও বেশ নজর কাড়েন এই প্রোটিয়া ব্যাটার।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উড়ন্ত সূচনাটা এনে দিতেন ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। আর মিডল অর্ডারে ক্লাসেনের দায়িত্ব ছিল সেই উড়ন্ত সূচনাকে ধরে প্রতিপক্ষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়া। সব মিলিয়ে এবারের আইপিএলে ১৬ ম্যাচ খেলে ৩৯.৯১ গড়ে, ১৭১.০৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৪৭৯। ৪টা হাফ সেঞ্চুরি ছিল তার ইনিংসে। ৩বার ছিলেন অপরাজিত।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরু আর শেষের ব্যাটিংয়ের মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ থাকবেন ক্লাসেন। ওপেনাররা যদি দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো সূচনা এনে দিতে পারেন, তাহলে আইপিএলের ফর্মটাকে টেনে এনে ক্লাসেন প্রোটিয়াদের স্কোরকে নিয়ে যেতে পারবেন প্রতিপক্ষের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

 

আইএইচএস/