মাথিশা পাথিরানায় ফিরবে লঙ্কান ক্রিকেটের ঐতিহ্য!
বোলিং অ্যাকশন অনেকটাই লাসিথ মালিঙ্গার মতো। এজন্য তার নামই হয়ে গিয়েছিল ‘বেবি মালিঙ্গা’। অবশ্য যত দিন গড়াচ্ছে, নিজের নামেই পরিচিতি পাচ্ছেন মাথিশা পাথিরানা, আসলে পাইয়ে দিচ্ছে তার পারফরম্যান্স। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আলো ছড়িয়ে অল্প দিনেই পেয়েছেন তারকাখ্যাতিও। এবারের বিশ্বকাপে স্কোয়াডে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় তারকাদের একজনও তিনি।
অথচ পাথিরানার ক্যারিয়ার স্রেফ কয়েক বছরের। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলে ছিলেন তিনি। দুই বছর পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে যায় পাথিরানার। টি-টোয়েন্টির পর ওই বছর ওয়ানডেতেও অভিষেক হয় তার।
শ্রীলঙ্কার হয়ে অবশ্য পারফরম্যান্স খুব বেশি উজ্জ্বল নয় পাথিরানা। ১২ ওয়ানডেতে ওভারপ্রতি ৭.২৭ গড়ে রান দিয়ে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৬ টি-টোয়েন্টিতে তার ১১ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুটি ম্যাচ খেললেও এখনও জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলেননি তিনি।
মাথিশা পাথিরানা: টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার
ম্যাচ |
ইনিংস |
ওভার |
রান |
উইকেট |
সেরা |
গড় |
ইকনোমি |
৪ |
৫ |
৬ |
৬ |
১৯.৪ |
১৮৮ |
১১ |
৪/২৪ |
১৭.০৯ |
৯.৫৫ |
১ |
০ |
পাথিরানা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন মূলত আইপিএল দিয়ে। চেন্নাই সুপার কিংসে মাহেন্দ্র সিং ধোনির তত্ত্বাবধানে পরিপক্ক হয়ে ওঠেন তিনি। আইপিএলে নিজের প্রথম বলেই উইকেটও পেয়ে যান। ২০২৩ সালে আইপিএল জেতে চেন্নাই, ১২ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন পাথিরানা।
লাসিথ মালিঙ্গার মত অ্যাকশন, চামিন্দা ভাসের মতো আগ্রাসী মনোভাব- তরুণ মাথিশা পাথিরানার মধ্যেই আগামীর তারকা হয়ে ওঠার ছায়া খঁজছে লঙ্কান ক্রিকেটপ্রেমীরা। পারবেন কি পাথিরানা সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে?
পাথিরানার শক্তির জায়গা টি-টোয়েন্টি। এখন অবধি এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে তিনি খেলেননি দেশের হয়ে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন এই পেসার। দেশের হয়ে নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স তার উজ্জ্বল হবে বিশ্বকাপে, এমন আশায়ই থাকবেন লঙ্কান সমর্থকরা। তাহলে তিনি হয়ে উঠবেন দেশটির নতুন সুপারস্টারও।
আইএইচএস/