অ্যান্টিগায় স্যার ভিভ রিচার্ডসের স্মৃতি বিজড়িত স্টেডিয়াম
মাথায় হেলমেট ছাড়াই একের পর এক বল পুল-হুক করছেন স্যার ভিভ রিচার্ডস। তার ভয়ে তটস্থ বাঘা বাঘা সব বোলার। ওসব দিন এখন বেশ পুরোনো। তবে কিংবদন্তি ভিভের দেশে হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। এই ফরম্যাটের বিশ্ব আসরে চার-ছক্কার ফুলঝুড়িই দেখা যাবে নিশ্চিতভাবে। ওখানে ফিরে আসবেন ক্যারিবীয়ান কিংবদন্তীও।
স্যার ভিভের দেশেই শুধু নয়, অ্যান্টিগায় তার নামের স্টেডিয়ামেই হবে বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ। ২০০৭ বিশ্বকাপ সামনে রেখে তৈরি করা এই স্টেডিয়ামে এমনিতে দর্শক ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার হলেও ওই টুর্নামেন্টের জন্য সেটি দ্বিগুণ করা হয়েছিল। স্যার ভিভের নামের মাঠটিতেই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘বি’ গ্রুপের চারটি ম্যাচ হবে। বাকি চারটি ম্যাচ হবে সুপার এইট পর্বের।
এখন অবধি স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ২৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে আগে ও পরে ব্যাট করায় জয়ের ক্ষেত্রে ব্যবধান হয়নি খুব একটা। ১৪বার আগে ব্যাট করা দল জিতেছে, ১০টিতে জিতেছে আগে বল করা দল।
খুব বেশি রানের জন্যও খ্যাতি নেই এই মাঠটির। কখনো দুইশ রান করতে পারেনি কোনো দল। বাহামাসের বিপক্ষে কানাডার করা ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানই এখন অবধি সর্বোচ্চ। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা দলের গড় রান ১২৭, দ্বিতীয় ইনিংসে সেটি ১০৫।
বিশ্বকাপের আট ভেন্যুর মধ্যে স্যার ভিভের নামের এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ নেই। এমনকি স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজও এই ভেন্যুতে গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ খেলবে না। তবুও এই স্টেডিয়ামটি আলাদা আকর্ষণে থাকবে স্যার ভিভের জন্য!
স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়াম, অ্যান্টিগা
প্রতিষ্ঠা: ২০০৬ সালে
ধারণক্ষমতা: ১০,০০০
এবারের বিশ্বকাপে অনুষ্ঠিত হবে: ৮টি ম্যাচ
গ্রুপ পর্ব
৯ জুন, ওমান-স্কটল্যান্ড
১১ জুন, নামিবিয়া-অস্ট্রেলিয়া
১৩ জুন, ওমান-ইংল্যান্ড
১৫ জুন, নামিবিয়া-ইংল্যান্ড
সুপার এইট
১৯ জুন, এ২-ডি১
২০ জুন, বি২-ডি২
২২ জুন, এ১-ডি২
২৩ জুন, সি২-ডি১
আইএইচএস/