দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জেতা উচিত: মাশরাফি
উপলক্ষ্য আন্তর্জাতিক কাবাডি। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক কাবাডির প্রাক সংবাদ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও ইন্সপেক্টর জেনারেল (অব.) বাংলাদেশ পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
এছাড়া ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক-২ এসএম নেওয়াজ সোহাগ এবং কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান খানও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি বিন মর্তুজা বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন।
আজ সোমবার বিওএ অডিটোরিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে শীর্ষ ক্রিকেট তারকা দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার উপস্থিতি ও ভূমিকার সবটুকুই ঢাকায় অনুষ্ঠেয় কাবাডি টুর্নামেন্টকেন্দ্রিক। তারপরও টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ডকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। মাশরাফির মতো দেশবরেণ্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব মিডিয়ার সামনে, ক্রিকেট নিয়ে কথা হবে না, তা কী হয়?
মাশরাফিকে পেয়েই উপস্থিত সাংবাদিকরা বিশ্বকাপ নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন। বাংলাদেশ কতদূর যেতে পারে, আপনি কী ভাবছেন, দলের কাছে আপনার প্রত্যাশাইবা কী? এমন সব প্রশ্ন ছুটে গেলো সাবেক অধিনায়কের দিকে।
মাশরাফি নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘কত দূর যেতে পারবে, বলতে পারব না। তবে ভালো কিছু করুক এটাই আশা করছি। আমি নিশ্চিত আপনারাও সেটাই আশা করেন।’
প্রিয় জাতীয় দলের অনুজপ্রতিম ক্রিকেটারদের কাছ থেকে মাশরাফির প্রত্যাশা আকাশছোঁয়া না হলেও আর সবার মতো জাতীয় দলের এ সাবেকও চান টিম বাংলাদেশের সাফল্য। তাই তো মুখে এমন কথা, ‘আমি অবশ্যই চাইব বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসুক।’
তবে তার আগে বাস্তব অবস্থাটাও খুঁটিয়ে দেখার জোর তাগিদ নড়াইল এক্সপ্রেসের কণ্ঠে। টিম বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফর্ম, ছন্দ, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে সব মাঠে খেলা হবে, সেই সব মাঠের পরিবেশ- পারিপার্শ্বিকতা; সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে তারপর প্রত্যাশা করা উচিত বলে মনে করেন মাশরাফি।
মাশরাফির কথা, ‘প্রত্যাশাটা হতে হবে বাস্তবভিত্তিক। ভাবতে হবে দল কেমন খেলছে ওখানে। উইকেট কেমন, কন্ডিশন কেমন। দল কেমন ছন্দে আছে, খেলোয়াড়রা কেমন ফর্মে আছে। প্রথম রাউন্ড পার করতে পারলে চূড়ান্ত গন্তব্য সম্পর্কে একটা ধারণা হবে।’
গ্রুপপর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা আর শ্রীলঙ্কার অন্তত এক দলের ব্পিক্ষে জয়ের আশায় মাশরাফি। প্রথমে বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তো জেতা উচিত। তার পক্ষে যুক্তি হলো, যদিও সেটা ওয়ানডে ছিল, তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে একবার সিরিজ জিতে এসেছে আমাদের জাতীয় দল। দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কার যে কোনো একটা জিততে হবে মনে হয় (দ্বিতীয়পর্বে যেতে)। আশা করি, ইনশাআল্লাহ ভালো করবে।’
মাশরাফি কিছুতেই ভাবতে চান না যে, শান্তর দল নেদারল্যান্ডস ও নেপালের কারও কাছে হারতে পারে। তাই মুখে এমন কথা, ‘ওদের (নেপাল-নেদারল্যান্ডস) সঙ্গে যদি হারার কথা চিন্তা করেন, তাহলে তো কঠিন। দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার একটা জিতে আর ওগুলোকে হারিয়ে...দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার দুটোই নয় কেন? দুটোকেই চিন্তা করা যায়, হারাতে পারে কি না।’
সাকিব খুব ছন্দে নেই সাম্প্রতিক সময়। তা নিয়ে এতটুকু চিন্তা নেই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের। তিনি বলেন, ‘সাকিবকে নিয়ে তো আলাদা করে বলার কিছু নাই। সব সময় আশা করব সেরা পারফর্ম্যান্স, এটাই।’
অনেক চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে আসা মাহমুদউল্লাহ এখন দলের অন্যতম ভরসার নাম। তবে মাশরাফি মনে করছেন না, এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা রিয়াদের নতুন করে ফিরে আসা। তার কথা, ‘ও (রিয়াদ) তো খেলতেছেই। ফিরে আসার কী আছে? নতুন করে কিছু না। রিয়াদ এমনই খেলতো।’
যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে, সেই নাজমুল হোসেন শান্ত গতবারের আগেরবার মাশরাফির নেতৃত্বেই সিলেটের হয়ে বিপিএল খেলেছেন। সেই আসরে শান্ত ৫০০-এর বেশি রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হয়েছিলেন।
তবে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে শান্ত কেমন, তা দেখা হয়নি মাশরাফির। তাই শান্তর নেতৃত্ব নিয়ে জানতে চাইলে মাশরাফির সোজাসাপ্টা জবাব, ‘শান্তর অধিনায়কত্ব দেখি নাই। ’
এআরবি/এমএমআর/এএসএম