লিটন টিকে রইলেন, বাদ পড়লেন ইমন- কেন এমন সিদ্ধান্ত বিসিবির
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হওয়া এই তিন ম্যাচের একটিতেও একাদশে জায়গা পাননি তিনি।
লিটন দাস ক্রমাগত খারাপ করেই চলেছেন। ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে, রান করতেই ভুলে গেছেন তিনি। তামিম ইকবালের পর তাকে ভাবা হচ্ছিল, দেশের এক নম্বর ওপেনার। কিন্তু সেই লিটন খারাপ সময়ে মাঠে নেমে ভালো করার চেষ্টার বদলে খেলছেন দায়িত্বজ্ঞানহীন শট। এতে নিজের অবস্থানকে আরও বেশি প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছিলেন তিনি।
যে কারণে ধারণা করা হচ্ছিল, ঢাকায় সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা লিটনের বিকল্প খুঁজবেন। সেক্ষেত্রে তানজিদ তামিমের সঙ্গে পারভেজ ইমনকে পরখ করে দেখা হতে পারে, এমনটিই মনে করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক ভক্ত।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল উল্টো। লিটন ঠিকই বহাল তবিয়তে আছেন দলে। বরং দল থেকে বাদ পড়েছেন ইমন। চট্টগ্রামে স্কোয়াডে থেকেও এক ম্যাচ সুযোগ না পাওয়া এই বাঁহাতি তরুণ ব্যাটার ঢাকায় ১৫ জনের স্কোয়াডেই নেই। তার বদলে দলে যুক্ত হয়েছেন সৌম্য সরকার। কাজেই বোঝা যাচ্ছে, টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের বিশ্বকাপ ভাবনায় নেই ইমন।
পায়ের ইনজুরি কাটাতে ফিজিও, ট্রেনারসহ পুরো কোচিং স্টাফ চট্টগ্রামে সৌম্যকে ম্যাচ ফিটনেস পেতে সহায়তা করেছেন। এই পরিণত বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে ঘষে-মেজে তৈরি করা হয়েছে ঢাকার শেষ দুই ম্যাচের জন্য। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সৌম্যই হয়তো ঢাকার শেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলবেন। শুধু এই দুই ম্যাচের জন্যই নয়, বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলেও লিটন ও তানজিদ তামিমের সঙ্গে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে থাকবেন সৌম্য।
নির্বাচকদের কেউ মুখ থেকে একটি কথা না বললেও জানা গেছে, বিশ্বকাপের আসরে তানজিদ তামিম আর ইমনের মতো দুই দুইজন নবীন ও অনভিজ্ঞ ওপেনারকে দলে রাখা এবং খেলানো ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই অফফর্মের পরও ব্যাটিং সামর্থ্য, মেধা এবং অতীত পারফরম্যান্সকে বিবেচনায় এনে নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট লিটনকে বিশ্বকাপ দলে রেখেছেন। সঙ্গে আরেক অভিজ্ঞ ও পরিণত পারফরমার সৌম্য সরকারকে তার অতীত দেখেই দলে নেওয়া। তাদের সঙ্গে তরুণদের মধ্যে শুধু তানজিদ তামিমকেই সেরা অপশন বলে ভাবা হয়েছে।
এদিকে ঢাকায় কেন ইমন নেই, আর কেনই বা সৌম্য দলে? তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক।
আব্দুর রাজ্জাকের ভাষায়, ‘সৌম্য সরকার ও পারভেজ ইমনের ব্যাপারটা যেটা- সৌম্য যেহেতু চোটে ছিল, ও (সৌম্য) এখন খেলার জন্য ফিট হয়েছে। আমরা চাই, ওকে (সৌম্য) ম্যাচ পরিস্থিতিতে দেখতে যে কী অবস্থায় আছে। এজন্য পরিবর্তনটা করা। যদিও পারভেজ কোনো ম্যাচ পায়নি। তবে ও (ইমন) আমাদের টি-টোয়েন্টি সিস্টেমের মধ্যেই আছে।’
এআরবি/এমএইচ/জিকেএস