মোসাদ্দেকের ১৩৩
নাম সর্বস্ব আবাহনীর সঙ্গেও পারলো না মোহামেডান
আগেই শিরোপা নিশ্চিত হলেও এখন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নেতৃত্বে যে দলটি খেলছে, সেটা আসলে নাম সর্বস্ব আবাহনী। আবাহনীর মূল শক্তির ৮০ ভাগও নেই এখন। কী করে থাকবে?
লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন ধ্রুব, জাকের আলী অনিক, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলামসহ ১০ জন জাতীয় দলের সাথে চট্টগ্রামে। সঙ্গে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আর পেসার খালেদ আহমেদও আহত।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এমন এক ভাঙাচোড়া দলের সঙ্গেও পারলো না মোহামেডান। শুক্রবার ছুটির দিন ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আবাহনীর কাছে ৯ রানে হারলো মোহামেডান।
অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দুর্দান্ত শতক (১০১ বলে ১০ বিশাল ছক্কা ও ৮ বাউন্ডারিতে ১৩৩ রানের ইনিংস) আর ওপেনার সাব্বির হোসেনের ৭১ বলে ৯১ রানের কার্যকর ইনিংসের ওপর ভর করে আবাহনী যে ৩০৩ রানের বড়সড় পুঁজি পেয়েছিল, মোহামেডান তা টপকে যেতে পারেনি।
অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (৬০ বলে ৫৯) আর রুবেল মিয়া (৬২ বলে ৬৫) একজোড়া ফিফটি উপহার দিলেও ৩০০+ টার্গেট ছুঁতে তা যথেষ্ট ছিল না।
রনি তালুকদার (০), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৩৬), মেহেদী হাসান মিরাজ (২৭) আর আরিফুল হক (২০) কার্যকর ভূমিকা নিতে না পারায় মোহামেডান আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে।
শেষ দিকে রুবেল মিয়া আর পেসার আবু হায়দার রনি (২৭ বলে ৪০ অপরাজিত) সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রান তুলে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৩০৪ তাড়া করতে গিয়ে ২৯৪ রানে থামে মোহামেডান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আবাহনী: ৪৪.৪ ওভারে ৩০৩/১০ (নাইম শেখ ৬, সাব্বির হোসেন ৯১, এনামুল হক বিজয় ১৬, মোসাদ্দেক ১৩৩, নাহিদুল ১৬, মোসাব্বের ১৯; আবু হায়দার রনি ৩/৪০, নাইম হাসান ১/৩০, নাসুম ১/৭৪, মিরাজ ৩/৫২, রুবেল মিয়া ১/৩১)।
মোহামেডান: ৫০ ওভারে ২৯৪/৬ (রনি তালুকদার ০, হাবিবুর রহমান মুন্না ২৫, ইমরুল কায়েস ৫৯, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩৬, মেহেদী মিরাজ ২৭, আরিফুল হক ২০, রুবেল মিয়া ৬৫ অপরাজিত, আবু হায়দার রনি ৪০ অপরাজিত; নাহিদুল ৩/৪৪, ফাহাদ ১/৫১, জায়েদউল্লাহ ১/৩৭, রাকিবুল ১/৭২)।
ফল: আবাহনী ৯ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (আবাহনী)।
এআরবি/এমএমআর/এএসএম