আমরা দল হিসেবে খেলি বলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি: মোসাদ্দেক
দলে লিটন দাস, নাজমুল শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, তাসকিন, শরিফুল ও সাইফউদ্দীনরা থাকুন আর নাই থাকুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতই যে আবাহনীর অনেক বড় সম্পদ, শক্তি ও দারুন কার্যকর অস্ত্র; অন্যতম চালিকাশক্তি, আজ মঙ্গলবার বিকেএসপিতে তা আরও একবার প্রমাণ হলো।
এনামুল হক বিজয় (৬৭) ও আফিফ হোসেন ধ্রুব (৮৩) একজোড়া ‘বিগ’ ফিফটি হাঁকিয়েছেন। তাদের চওড়া ব্যাটে আবাহনীর লক্ষ্যের পথে অনেকদূর এগিয়েও গেছে; কিন্তু তাদের চেয়ে কম রানের ইনিংস (৫৪ বলে ৫৩ নট আউট) খেলেও আবাহনীর আজকের ম্যাচে জয়ের নায়ক মোসাদ্দেক।
আবাহনীর এ অধিনায়ক ম্যাচের ঠিক সময়ে হাল ধরেছেন এবং ১০০ প্লাস স্ট্রাইকরেটে সময়ের দাবি মিটিয়েছেন আস্থা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে। একটি বাউন্ডারিও নেই। চার চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন মোসাদ্দেক। শেখ জামালের বাঁ-হাতি পেসার শফিকুলের করা শেষ ওভারের পঞ্চম বলে উইনিং সিক্সটাও আবাহনীর অধিনায়কের।
মোসাদ্দেক আবাহনীর সফল কান্ডারি। এবার নয়। ২০১৮-২০১৯ মৌসুমে এই প্রিমিয়ার লিগে আকাশী-হলুদ জার্সিতে মাশরাফির মত দেশসেরা ও সফলতম অধিনায়কও যখন আবাহনীতে ছিলেন, তখনো আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেন ছিলেন মোসাদ্দেক এবং কাকতালীয়ভাবে সেবারও এই বিকেএসপি মাঠে লিগ ট্রফি বিজয়ের মিশন শেষে সফল ক্যাপ্টেন হিসেবে মিডিয়ার সামনে হাসিমুখে এসে দাঁড়িয়েছিলেন মোসাদ্দেক।
এবারের শিরোপা বিজয়টা মোসাদ্দেকের জন্য অন্যরকম এক কৃতিত্বের। অনেক ভাললাগার। কারণ এবার আবাহনীতে তার একযুগ পুর্তি হলো। ক’দিন আগে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ১২ বছর আবাহনীতে কাটানোর জন্য আবাহনী শিবির তাকে ব্লেজার, ক্যাপ ও ক্রেস্ট উপহার দেয়।
ঠিক পরের ম্যাচেই আবাহনীকে লিগ ট্রফি উপহার দিলেন মোসাদ্দেক। আজ দলের প্রয়োজনের সময় একদিক আগলে রেখে তিন বোলার নাহিদুল, তানজিম সাকিব ও রাকিবুলকে নিয়ে দল জিতিয়ে হাসিমুখে সাজঘরে ফিরলেন মোসাদ্দেক।
এ সাফল্যকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও টিম পারফরমেন্সের ফসল বলে মন্তব্য করেছেন মোসাদ্দেক। দল জিতিয়ে মাঠ ছেড়ে মিডিয়ার সামনে এসেই বলে দিলেন, ‘আমরা দল হিসেবে খেলি বলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সব সময় বিশ্বাস ও আস্থা ছিল চ্যাম্পিয়ন হবো। বিশ্বাস হারাইনি।’
শেষ দিকে আবাহনীর হয়ে পেসার তানজিম সাকিব ও বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল একটি করে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। মোসাদ্দেক তাদের কৃতিত্ব দিতেও ভোলেননি। আবাহনী ক্যাপ্টেনের কথা, ‘তানজিম সাকিব ও রাকিবুলের সাকিবের একটি করে দুটি বাউন্ডারিও কাজে লেগেছে।’
এআরবি/আইএইচএস