ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

জাতীয় দলে ১০ ক্রিকেটার

শেখ জামালের বিপক্ষে ১১ জন নামানোই দায় আবাহনীর!

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

কাগজে-কলমে সমীকরণ কঠিন নয় মোটেই। তবে আবাহনীর লিমিটেডের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচটি অন্য কারণে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, আকাশী-হলুদদের একাদশ সাজানোই দায়।

কারণ, প্রায় ৬০ শতাংশ ক্রিকেটার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্কোয়াডে চলে গেছেন। আবাহনীকে আগামীকাল শেখ জামালের বিপক্ষে খেলতে হবে প্রধান ও অপরিহার্য ১০ ক্রিকেটার- লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ও তানভির ইসলামকে ছাড়াই।

এদিকে আবাহনী শিবিরের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আর পেসার খালেদ আহমেদের ইনজুরি।

আজ সোমবার সকালে দলের হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি বা আমরা কী করবো জানিনা। এমনিতেই ১০ জন নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচের দলের চলে গেছে তারা। এর ওপর ওপেনার জয় (মাহমুদুল হাসান) আর পেসার খালেদও ইনজুরির শিকার। আমি কীভাবে ১১ জন নামাবো তা ভেবেই অস্থির।’

সুজন জানান, তারা কিছু বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটার খেলানোর কথা ভাবছেন। কারণ, প্রথম বিভাগের কোনো ক্রিকেটারকে খেলানো যাবে না। নিয়ম অনুযায়ী, একই বছর প্রথম বিভাগে খেলা কোনো ক্রিকেটার সেই বছর প্রিমিয়ার লিগ খেলতে পারবেন না। পরের বছর পারবে। কাজেই এ বছর প্রথম বিভাগে খেলা কোনো ক্রিকেটারকে ধার করে এনে খেলানো সম্ভব না। যে কারণে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটাররাই এখনভরসা আবাহনীর।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আগামী ৩ মে। আর আবাহনীর খেলা ৩০ এপ্রিল। মানে, মাঝখানে বিরতি আছে। আছে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও। আপনারা কী জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ১০ জনের মধ্যে ৩-৪ জনকে চাইবেন? যাদের খেলার সম্ভাবনা কম, এমন অন্তত ২ থেকে ৩ জনকে কী জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে এনে মঙ্গলবার খেলানোর কোনো সম্ভাবনা আছে?

এই প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেন, ‘সেটা আমি কী করে বলবো বলুন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর ৭২ ঘন্টা আগে অবাহনীর ম্যাচে জাতীয় দলের ক্রিকেটার এনে খেলানো যাবে কিনা। সেটা কেমন দেখায়? আর আমরাই বা সে দাবি করি কী করে? সেটা কেমন দেখায়? তাহলে তো অন্য দলগুলোও প্লেয়ার চাইবে। প্রাইম ব্যাংক, মোহামেডান আর শাইনপুকুরেরও তো প্লেয়ার আছে। তারাও খেলানোর অনুমতি চাইবে। তাহলে তো জাতীয় দলের ১৫ জনের সবাইকেই ৩০ এপ্রিল প্রিমিয়ার লিগ খেলার অনুমতি দিতে হয়। শুধু আবাহনীকে কি আর প্লেয়ার খেলানোর অনুমতি প্রদান সম্ভব?’

শেষে সুজন বলেন, ‘এখন বোর্ড, নীতি নির্ধারক ও জাতীয় দলের থিংক ট্যাঙ্করাই জানেন, আসলে কী হবে? জাতীয় দলের প্লেয়ারদের মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগ খেলার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, তা বোর্ডের এখতিয়ার। তারাই জানেন, তারাই বলতে পারবেন। আমি এই জায়গা, ওই জায়গা থেকে ক্রিকেটার এনে দল সাজানোর চেষ্টা করছি। এখন দেখা যাক কী হয়?’

এআরবি/এমএইচ/এএসএম