মুশফিকের লড়াকু সেঞ্চুরির পরও আবাহনীর কাছে হার প্রাইম ব্যাংকের
কেন তাকে মিস্টার ডিপেন্ডেবল বলা হয়? কেন তার ব্যাট বিশ্বস্ত? তা আবার নতুন করে জানিয়ে দিলেন মুশফিকুর রহিম।
আঙুলের ইনজুরিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলে ছিলেন না। অবশেষে দীর্ঘ বিরতির পর আজ প্রাইম ব্যাংকের হয়ে মাঠে নামলেন এবং আবাহনীর বিপক্ষে একাই লড়লেন মুশফিক।
জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল অনেক বড়; ৩৪২। শেরেবাংলার উইকেটে ৩৪২ রান যেন ব্যাটিং উইকেটে ৪০০ রানের চেয়েও বেশি। এ বিশাল লক্ষ্যকে ছুঁতে গিয়ে যেমন হাত খুলে খেলার দরকার ছিল তা পারেননি প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটাররা।
তামিম ইকবাল ১, জাকির হাসান ৮, শাহাদাত হোসেন দিপু ১২, মোহাম্মদ মিঠুন ৭ এবং অলক কাপালি ১৮- এই ছিল প্রাইম ব্যাংক ব্যাটারদের রান। এর মাঝে পারভেজ ইমনের ৭০ বলে ৫৬ রানের ধীরগতির অর্ধশতকও ছিল।
অন্য প্রান্তে কেউ সে অর্থে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে না পারলেও মুশফিকুর রহিম ঠিক একাই লড়াই করলেন। প্রথম ৫০ করলেন ৪৭ বলে ৮ বাউন্ডারি মেরে। এরপর যখন বুঝলেন, যা কিছু করার তাকে একাই করতে হবে তখন ঠিক কিছুটা ধীরস্থির হয়ে গেলেন। বল পিছু রান তোলায় মনোযোগী হলেন এবং শেষ পর্যন্ত এক লড়াকু শতক উপহার দিলেন। আবাহনী পেসার তানজিম সাকিবের বলে পুল করে ৯৬ বলে নিজের শতরান পূর্ণ করেন মুশফিক।
এই উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকলে আউট করা কঠিন। ৩৪২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছানো হয়তো সম্ভব হবে না; তবে রান করা সহজ এবং প্রতিপক্ষ বোলিংকে মোকাবেলা করা অসাধ্য নয়। শুধু রান করার তাগিদ, দৃঢ় সংকল্প এবং বলের মেধা ও গুনাগুণ বিচার করে খেললেই রান করা সম্ভব তা বাকিদের মাথায় না খেললেও মুশফিকুর রহিম ভালো করেই ঠাওরে উঠেছিলেন।
তাই এক প্রান্তে অনড়-অনমনীয় মুশফিক একাই শরিফুল, তানজিম সাকিব, তাসকিন, সাইফুদ্দিনদের নিয়ে সাজানো প্রতিপক্ষের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে একাই লড়ে গেলেন।
সেটা যদি তামিম, জাকির, শাহাদাৎ দিপু ও মিঠুনদের মধ্যে কেউ পারতেন তবে আজকের ম্যাচের দৃশ্যপট অন্যরকম হলেও হতে পারতো। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ১০৫ বলে ১১১ রানের হার না মানা ইনিংস প্রাইম ব্যাংকে নিয়ে গেলো ২৮৩ পর্যন্ত।
আবাহনীর হয়ে ২পেসার তাসকিন ও তানজিম সাকিব ৩টি করে এবং অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন ২টি উইকেট পান। আবাহনী পেল ৫৮ রানের জয়, যা এবারের লিগে আকাশী-হলুদদের টানা দশম জয়। অন্যদিকে প্রাইম ব্যাংকের দশ খেলায় চতুর্থ পরাজয়।
এআরবি/আইএইচএস