ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

‘হাথুরু বিশ্বসেরা কোচ হতে পারে, সেটা আমার কাছে মূল্য রাখে না’

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:৫২ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

তাকে ধরা হয় টিম বাংলাদেশের অন্যতম থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। গত প্রায় একযুগে একদম প্রধান কোচের পদটি ছাড়া এমন কোন পদ নেই যেখানে কাজ করেননি খালেদ মাহমুদ সুজন। কখনো সহকারী কোচ, কোন সময় ম্যানেজার, আবার কখনো প্রধান পারমর্শকের (চিফ অ্যাডভাইজার) ভূমিকায়ও দেখা গেছে তাকে।

সর্বশেষ দুই বছরের বেশি সময় বেশ কিছু সিরিজ ও সফরে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির ডাঁকসাইটে পরিচালক গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান খালেদ মাহমুদ সুজন ছিলেন বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর। এমনকি গত বছর সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও এই পরিচয়েই তিনি ভারতে জাতীয় দলের সাথে ছিলেন।

কিন্তু ওই বিশ্ব আসরেই চরমভাবে অবমূল্যায়িত হয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। জানা যায়, তিনি টিম পরিচালক হওয়ার পরও টিম মিটিংয়েও তার প্রবেশাধিকার ছিল না। তিনি এটা মোটেই ভালভাবে নিতে পারেননি। সে ক্ষোভেই আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার ঘোষণা আসলো সুজনের কন্ঠে।

দেশের ক্রিকেটে তার প্রভাব অনেক বেশি। তিনি বিসিবির অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা। দেশের ক্রিকেটে অন্যতম কুশলী কোচ হিসেবেও সমাদৃত। ক্রিকেটারদের একটা বড় অংশ তার খুবই কাছের। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, তাসকিন, তানজিদ তামিম, তানজিম সাকিব- প্রমুখ তরুণ ক্রিকেটাররা তার প্রায় শিষ্যের মত।

তাদের কাছে সুজন শুধুই গুরু নন, পিতৃতূল্য; কিন্তু তারপরও কেন তার জাতীয় দলের সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার ঘোষণা? খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথে আসল সম্পর্কটা কার খারাপ? কার কারণে সর্বশেষ বিশ্বকাপে সুজন জাতীয় দলে উপিক্ষত ছিলেন? এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।

সরাসরি না বললেও খালেদ মাহমুদ সুজন আজ রোববার বিকেলেই দিয়েছেন এর জবাব। তার কথায় পরিষ্কার, তাকে অবমূল্যায়ন করা ব্যক্তিটি আর কেউ নন, জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সুজনের কথায়ই পরিষ্কার, তিনি হাথুরুর কারণেই নিজেকে জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।

সুজন তার কথাবার্তার এক পর্যায়ে জোর গলায় বলে ওঠেন, ‘হাথুরুসিংহে বিশ্বের সেরা কোচ হতে পারে, সেটা আমার কাছে কোন মূল্য রাখে না। আমার বাংলাদেশে অনেক সম্মান আছে, ক্রিকেটাররা আমাকে অনেক সম্মান করে। আমি সেই সম্মানের জায়গাটা হারাতে চাই না।’

হাথুরু বা টিম ম্যানেজমেন্টর কেউ কি তাকে অপমান করেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন বুঝিয়ে দেন, তাকে তার কাজটা করতে দেয়া হয়নি এবং সেই ব্যক্তিটি যে হাথুরু, তার কথাতেই আছে সে আভাস।

অপমানিত হয়েছি, সরাসরি তা না বলে সুজন বলেন, ‘অপমান কথাটা বলব না, আমি তো ক্রিকেট পছন্দ করি। একটা জয়গায় যখন কাজ করেছি, সেই জায়গায় যখন সঠিক কাজটা করতে পারি না, তখন প্রশ্ন জাগে আমাকে রাখার কোন মানে হয় না।’

সুজনের দাবি, ‘আমি তো ট্যুর করতে যাই না বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। এতগুলো ট্যুর করার পর হঠাৎ জাতীয় দলে আমার কাজটা পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে আমাকে ওই দায়িত্বে রাখার কোন মানে হয় না আসলে। আমি যদি ওই কাজ না করতে পারি তাহলে কেন করবো? আমি বিদেশ অনেক ঘুরেছি, বিদেশ ঘোরার কোন ইচ্ছাই নাই আমার। সো আমি মনি করি, আমি এর বাইরে।’

এআরবি/আইএইচএস