ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

লিপুর নতুন প্রস্তাব

প্রয়োজনে ভেঙে ভেঙে আয়োজন হবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট লিগ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৮:০৮ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২৪

টেকনিক, টেম্পারমেন্ট, ধৈর্য, বল ছেড়ে খেলা এবং শট সিলেকশনে ত্রুটি-বিচ্যুতি ও ঘাটতি আছে। তা মানতে দ্বিধা নেই। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু মনে করেন, বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটারদের আরও অনেক বেশি করে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলা দরকার।

প্রধান নির্বাচকের উপলব্ধি, প্রথম শ্রেণির ম্যাচ বেশি করে এবং নিয়মিতভাবে খেলতে হবে। দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ বেশি না খেললে টেস্ট খেলার মেজাজ, ধৈর্য, টেকনিক, টেম্পারমেন্ট বাড়ানোর কোনো পথ নেই।

কিন্তু বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডারের সাথে ঘরোয়া ক্রিকেট বর্ষপঞ্জির একটা বড় ধরনের ‘ক্ল্যাশ’ বা বিবাদ ঘটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাংলাদেশে যখন জাতীয় লিগ বা বিসিএল শুরু হয়, তখন জাতীয় দল কোনো না কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট খেলায় ব্যস্ত।

এভাবে চলছে বছরের পর বছর। যে কারণে বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেশিরভাগের কয়েক বছরেও প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা হয় না। গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বিষয়টি মন দিয়ে লক্ষ্য করেছেন।

তার অনুভব, দেশের মাটিতে একদমই বা নামমাত্র প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে টেস্টে। তাই ক্রিকেটারদের দেশে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলানোর ব্যবস্থা করতে রীতিমত মরিয়া লিপু।

প্রধান নির্বাচকের মতে, যত বেশি সম্ভব, বেশি করে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে হবে। সেইসঙ্গে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের গুণমান বৃদ্ধি ও আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জোর তাগিদও অনুভব করছেন তিনি।

লিপু বলেন, ‘ক্রিকেটাররা বেশি বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেললে নিজেদের যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে পারবে। ক্রিকেটাররা যাতে একটা মানসম্পন্ন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশে জাতীয় লিগ ও বিসিএল খেলতে পারে, সে উদ্যোগ গ্রহণের এখনই সময়।’

জাতীয় দলের সাথে বারবার দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সূচির একটা ক্ল্যাশ হয়। তাই লিপুর মাথায় একটা নতুন চিন্তা এসেছে। তার প্রস্তাব, জাতীয় দলের সিরিজ বা সফরের সময় ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আয়োজন না করার।

লিপু বলেন, ‘আমাদের ন্যাশনাল টিমের ক্রিকেটাররা যাতে জাতীয় দলের কার্যক্রম থেকে ফ্রি থেকে দেশে বেশি করে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে পারে, সেই উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এবং যে কোনো মূল্যে এটা করতে হবে। এজন্য ক্রিকেট অপস, টুর্নামেন্ট কমিটিসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’

লিপু যোগ করেন, ‘দরকার হলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে না করে জাতীয় দলের যখন কোনো কার্যক্রম থাকে না, তখন ভেঙে ভেঙে দুই বা তিনবারে আয়োজন করা যেতে পারে। তাহলে সবাই খেলার সুযোগ পাবে। এটা করতে হলে ক্রিকেট অপস, ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট আর টুর্নামেন্ট কমিটির সবাইকে নিয়ে বসতে হবে। আমি আগামীতে সবার সাথে বসে সে উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টাই করবো।’

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম