ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

শাহিনকে নেতৃত্ব থেকে ছাঁটাই, মুখ খুললেন শ্বশুর আফ্রিদি

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:৫১ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০২৪

পাকিস্তান ক্রিকেটের যে কোনো পদই যেন মিউজিক্যাল চেয়ার। বদল হতেই থাকে। কখন কে ছিটকে পড়েন, আগে থেকে বোঝা দায়। শাহিন শাহ আফ্রিদিকেই যেমন ঘটা করে নেতৃত্ব দেওয়া হলো, কেড়ে নেওয়া হলো এক সিরিজ যেতে না যেতেই।

বাবর আজম পারছেন না, তাই তাকে সরিয়ে সাদা বলের দুই ফরম্যাটে অধিনায়ক করা হয়েছিল শাহিনকে। সেই শাহিনের কাছ থেকে আবারও বাবরের হাতেই নেতৃত্ব। এবার তাহলে কীভাবে বাবরের ওপর ভরসা ফিরলো ম্যানেজম্যান্টের?

শাহিন শাহ আফ্রিদি বিয়ে করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদির মেয়েকে। শাহিন নেতৃত্ব পাওয়ার পর তাই একটা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, শহিদ আফ্রিদির প্রভাবেই অধিনায়ক হয়েছেন শাহিন। যদিও শহিদ আফ্রিদি সেটা অস্বীকার করেন দৃঢ়ভাবে।

এবার শাহিন নেতৃত্ব হারানোর পর শ্বশুর শহিদ আফ্রিদির প্রতিক্রিয়া কী, সেটি জানতে উদগ্রীব সবাই। আফ্রিদি তার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেনও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। তার কথা, শাহিনকে যদি সরাতেই হয় তবে বাবরকে আবার ফিরিয়ে আনা কেন?

যদিও বাবরের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই শহিদ আফ্রিদির। অধিনায়ক যখন হয়েই গেছেন, তাকে শুভকামনা জানাতেও কার্পণ্য করেননি সাবেক এই অলরাউন্ডার।

আফ্রিদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে লিখেছেন, 'নির্বাচক কমিটিতে এত অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা থাকার পরও যে সিদ্ধান্ত এসেছে, আমি বিস্মিত। আমি এখনও বিশ্বাস করি, যদি পরিবর্তন করতেই হয় তবে রিজওয়ান হতে পারতেন সেরা পছন্দ! তবে এখন যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়েই গেছে, আমি পাকিস্তান দল এবং বাবর আজমের প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং শুভকামনা জানাচ্ছি।'

জানা গেছে, শাহিন আফ্রিদি পিসিবির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন এবং খুব বেশি প্রতিবাদ করেননি। তবে তারও মনে হয়, একটি সিরিজ দিয়ে তাকে বিচার করা অন্যায্য।

কিন্তু কেন হুট করে শাহিন আফ্রিদিকে সরিয়ে দেওয়া হলো? সূত্রের খবর, পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ব্যর্থতায় জাতীয় দলে কপাল পুড়েছে শাহিনের। লাহোর কালান্দার্স এবার সবার শেষে থেকে পিএসএল শেষ করেছে, শাহিনও অধিনায়ক হিসেবে পারফর্ম করতে পারেননি।

সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফলে শাহিনকে বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে পাঠিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি পিসিবি। সেজন্যই ফের বাবরের শরণাপন্ন হওয়া।

এমএমআর/এমএস