কোহলির বিধ্বংসী ইনিংসে প্রথম জয় বেঙ্গালুরুর
প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহলির ব্যাট কথা বলতে পারেনি। মূলত বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে কুপোকাত হতে হয়েছিলো বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারকে। মাত্র ২১ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের কোনো বোলার মোস্তাফিজের মত চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি কোহলিকে। ফলে হাত খুলে খেলতে পারলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই ওপেনার। ১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোহলি ৪৯ বলে খেললেন ৭৭ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। ২টি ছক্কা এবং ১১টি বাউন্ডারিতে সাজানো তার এই ইনিংস।
এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কোহলির ব্যাটে ভর করে ৪ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেট হারিয়ে (৪ উইকেটের ব্যবধানে) জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সে সঙ্গে এবারের আইপিএলে প্রথম জয়ের দেখা পেলো কোহলির দল।
টস জিতেছিলেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান তিনি পাঞ্জাব কিংসকে। যারা প্রথম ম্যাচে হারিয়েছিলো দিল্লি ক্যাপিটালসকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার জনি বেয়ারেস্ট ৮ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর ৫৫ রানের জুটি গড়েন শিখর ধাওয়ান এবং প্রাবসিরাম সিং। ১৭ বলে ২৫ রান করে আউট হন প্রাবসিরাম।
এরপরই অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। ১৭ রান করে আউট হন লিয়াম লিভিংস্টোন। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করে বিদায় নেন শিখর ধাওয়ান। স্যাম কারান করেন ২৩ রান, জিতেশ শর্মা ২৭ রান করে আউট হন। শেষ দিকে ৮ বলে শশাঙ্ক সিং ২১ রান করে পাঞ্জাবকে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং ইনিংস উপহার দেন।
জবাব দিতে নেমে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি, এক বিরাট কোহলি ছাড়া। ফ্যাফ ডু প্লেসি ৩ রান, ক্যামেরন গ্রিন ৩ রান, রজত পাতিদার ১৮ রান, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৩ রান, অনজু রাওয়াত ১১ রান করে আউট হন। দিনেশ কার্তিক শেষ মুহূর্তে ১০ বলে ২৮ রান করে মূলত বেঙ্গালুরুর জয় নিশ্চিত করেন। ৮ বলে ১৭ রান করেন সাবস্টিটিউট ইন মহিপাল লমরোর।
আইএইচএস/