অর্থসংকটে অনিশ্চিত অস্ট্রেলিয়া-আয়ারল্যান্ড সিরিজ
প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছিল আয়ারল্যান্ড। অর্থসংকট ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে সেই আয়োজনটাও ঠিকমতো করতে পারছে আইরিশরা। জিনিসপত্রের দামের উর্ধ্বগতি ও মাঠের অবকাঠামোর নির্মাণের খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে তারা সিরিজ আয়োজন করতে কিছুটা পিছপা হয়েছে।
আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে আয়ারল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তার আগেই সিরিজ মুলতবির করার ইঙ্গিত দিয়েছে বোর্ড। এই সিরিজ শেষ করেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলার কথা অসিদের।
ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের ডিরেক্টর রিচার্ড হোল্ডসওয়ার্থ ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এফটিপিতে (সিরিজ পরিকল্পনা) যা ছিল, এর সব কিছু সরবরাহ করা একটি সত্যিকার অর্থেই একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা যে পরিমাণ ভেন্যু পেয়েছি তার তুলনায় অনেক বেশি ক্রিকেট ম্যাচ আমাদের আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোভিডের পর থেকে আয়ারল্যান্ডে খেলার খরচ অনেক বেড়ে গেছে। হোটেলের দাম, মাঠের জন্য অস্থায়ী অবকাঠামো স্থাপন করার খরচ আকাশছোঁয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের বাজেট ততটা দুর্দান্ত নয় যতটা আমরা ভেবেছিলাম। এই বছরে যদি আমাদের আরও রাজস্ব আসতো, তবে কোনো প্রশ্ন ছিল না, যে আমরা আরও সরবরাহ করতে সক্ষম হতাম।’
হোল্ডসওয়ার্থ আরও বলেন, ‘আমরা অবশ্যই খুব ছোট প্রদেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের খেলার কথা বিবেচনা করবো না। এই গ্রীষ্মে (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) সিরিজ আয়োজন করতে পারি কি না বা এফটিপির ভিন্ন পরিকল্পনায় সেটি করা যায় কিনা, সে বিষয়ে বিকল্প উপায়ের দিকে নজর দিচ্ছি।’
এর আগে আইরিশদের বিপক্ষে তাদের দেশে গিয়ে কেবল একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ার কারণে ইংল্যান্ড সফরের আগে বিশ্রামের ভালো একটি সুযোগ পাবে অসিরা।
এমএইচ/জিকেএস