ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ধীর ইনিংস খেলে ফিরলেন অধিনায়ক, রান তাড়ায় ধুঁকছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, ০৪ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ ইনিংসের অর্ধেকটাও পেরোয়নি। এরই মধ্যে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে টাইগাররা। ২০৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। দশম ওভারের খেলা চলছে।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ক্রস খেলতে চেয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন লিটন দাস (০)।

সৌম্য সরকারও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। ১১ বলে ১২ করে বিনুরা ফার্নান্ডোর বলে আকাশে বল তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি।

বিপিএলের দুর্দান্ত ছন্দে থাকা তাওহিদ হৃদয় শুরু করেছিলেন প্রথম বলেই ছক্কা দিয়ে। তবে ৫ বলে ৮ করেই ফিরতে হয় তাকে। ম্যাথিউজের বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গেলে ব্যাটে বল আলতো ছোঁয়া লেগে চটলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি।

৩০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ মারমুখী হলেও শান্ত এগোচ্ছিলেন ধীরগতিতে।

বল হাতে নিয়েই ২৮ বলে তাদের ৩৮ রানের জুটিটি ভাঙেন মাথিসা পাথিরানা। পাথিরানার গতিতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল শান্তর। অবশেষে তিনি ক্যাচই তুলে দেন। বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে ২২ বলে আসে ২০ রান।

এর আগে শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ আর মোস্তাফিজুর রহমান-তিন পেসারই তাদের ৪ ওভারের কোটায় দিলেন ৪০ রানের ওপর। সবমিলিয়ে তাদের ১২ ওভারে ১২৯ রান তুলে নিলো শ্রীলঙ্কা। ২০ ওভারে লঙ্কানদের পুঁজি দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২০৬ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম।

টাইগার পেসারকে কভার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন আভিষ্কা ফার্নান্ডো (২ বলে ৪)। ওয়ান ডাউনে নেমে চড়াও হয়ে খেলতে চেয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস।

১৪ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ১৯ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। মিডউইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৪৫ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা।

৩৭ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল লঙ্কানরা। তবে সেখান থেকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুশল মেন্ডিস আর সাদিরা সামারাবিক্রমার ৬১ বলে ৯৬ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারি দল।

১৪তম ওভারে বল হাতে নিয়েই সুযোগ তৈরি করেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু উইকেটরক্ষক লিটন দাস আকাশে উঠে যাওয়া বলটি দৌড়ে গিয়ে গ্লাভসবন্দী করলেও ভারসাম্য রাখতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে জীবন পান কুশল মেন্ডিস।

তবে মেন্ডিসকে আর ভয়ংকর হতে দেননি রিশাদ হোসেন। পরের ওভারেই তাকে লংঅফ বাউন্ডারিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যাচ বানান এই লেগস্পিনার। ৩৬ বলে ৬ চার আর ৩ ছক্কায় মেন্ডিস করেন ৫৯।

এরপর উইকেটে এসেই চড়াও হন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ২১ বলে ৬ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৪৮ বলে ৬১ করেন সাদিরা।

শরিফুল ৪ ওভারে ৪৭ রানে একটি, তাসকিন ৪০ রানে নেন একটি উইকেট এবং মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে পাননি উইকেটের দেখা। ৪ ওভারে ৩২ রানে একটি উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। শেখ মেহেদি হাসান ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

এমএমআর/এমএস