হ্যামিল্টন টেস্ট
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করতে নিউজিল্যান্ডের দরকার ২৬৭ রান
দ্বিতীয় ইনিংসে ডেভিড বেডিংহামের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও মাত্র ২৩৫ রানেই অলআউট হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ২৬৭ রানের লক্ষ্য পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। ১৪১ বলে ১১০ রানের ইনিংস খেলেছেন বেডিংহাম।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে রেকর্ড ব্যবধানে হারানোর পর এবার নিউজিল্যান্ডের সামনে প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ আসছে। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে নির্ভর করতে হবে বোলারদের উপর। সেক্ষেত্রে প্রোটিয়া বোলারদের অনুপ্রেরণা হতে পারে প্রথম ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ২১১ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ৩৬ রানের লিড পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিছুটা এগিয়ে থাকার কারণে মনে হয়েছে, আজ ব্যাট করে হয়তো স্বাগতিকদের বিপক্ষে বড় একটি পুঁজি দাঁড় করাতে পারবে প্রোটিয়ারা। তবে বেশি রান করতে না পারলেও প্রথম ইনিংস বিবেচনায় লড়াই করার মতো একটি পুঁজি পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও শুরুর দিকে বড় কোনো জুটি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৯ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারায় তারা।
চতুর্থ উইকেটে যুবায়ের হামজার সঙ্গে ১১৪ বলে ৬৫ রানের জুটি করেন বেডিংহাম। হামজা ৬৩ বলে ১৭ রান করে ওয়াগনারের বলে আউট হয়ে গেলে কিগান প্যাটারসেনের সঙ্গে আরও একটি জুটি করেন বেডিংহাম।
প্যাটারসেনের সঙ্গে বেডিংহামের জুটি থেকে আসে ১৩৭ বলে ৯৮ রান। এই দুই জুটিতেই লড়াই করার মতো একটি পুঁজি পায় প্রোটিয়ারা। পিটারসেন করেন ৭৯ বলে ৪৩ রান। ১২ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ১১০ রানের ইনিংস খেলে ও'রর্কের বলে ফিলিপসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরত যান বেডিংহাম। অবশেষে ২৩৫ রানে থামে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন ও'রর্কে। অভিষেক ম্যাচেই ফাইফার পূর্ণ করলেন কিউই পেসার। পুরো ম্যাচে নিজের ঝুলিতে জমা করেছেন মোট ৯ উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেক ম্যাচে এটি সর্বোচ্চ উইকেট শিকার। এ তালিকায় দ্বিতীয়্স্থানে আছেন মার্ক ক্রেইগ। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮৮ রান খরচায় ৮ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।
এমএইচ/এএসএম