কেন অধিনায়ক করা হলো না? লিটন বললেন, বোর্ডের কাউকে জিজ্ঞেস করুন
একটা সময় মনে করা হচ্ছিলো, বাংলাদেশের পরবর্তী অধিনায়ক হবেন লিটন দাসই। তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতিয়েছেন। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আফগানিস্তান সিরিজে।
সাফল্যও এসেছিলো তার হাত ধরে। ৭টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়ে ৩টিতে জিতেছেন লিটন। অন্যদিকে ৬ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন শান্ত। জয় পেয়েছেন ১টিতে। এক টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন। জয় পেয়েছেন সেটিতে। শান্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন ২টিতে। একটিতে জয়, অন্যটিতে পরাজয়।
সবমিলিয়ে একটা সময় ধরেই নেয়া হচ্ছিলো, সাকিব আল হাসান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব উঠতে যাচ্ছে লিটন দাসের কাঁধেই। তবে হঠাৎ করেই ধারাটা পরিবর্তন হয়ে গেলো।
বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ এবং বিশ্বকাপের জন্য নতুন দায়িত্ব দিতে গিয়ে লিটনকে বাদ দেওয়া হয়। সাকিব আল হাসানের সহকারী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে।
বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজে সাকিব না থাকায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে শান্তই অধিনায়কত্ব করেন। বিশ্বকাপেও সাকিবের অনুপস্থিতিতে দুই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত। বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ড সিরিজেও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
এবার সাকিব আল হাসান যখন অধিনায়কত্ব করবেন না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন, তখন বিসিবি শান্তকেই তিন ফরম্যাটে আগামী এক বছরের জন্য অধিনায়ক ঘোষণা করেছে। সোমবার এই ঘোষণা আসার পর পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। যদিও শাান্তর নেতৃত্ব পাওয়া নিয়ে খুব একটা প্রশ্ন নেই কারও।
আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৭৩ রানের বড় ব্যবধানে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে আসেন লিটন দাস।
সেখানেই তার কাছে শান্তকে অধিনায়ক করা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, একটা সময় তো আপনিই ছিলেন অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে। কিন্তু হঠাৎ করে আপনাকে সরিয়ে অধিনায়ক করা হলো শান্তকে। কেন আপনাকে অধিনায়ক করা হলো না? জবাবে লিটন বললেন, ‘এ সম্পর্কে তো আমি কিছু জানি না। অধিনায়ক তো আমি আর নিজে নির্ধারণ করিনি। এ প্রশ্নটা আপনি বোর্ডের কাউকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।’
শান্তর সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে কিনা কিংবা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন? লিটনের কাঠখোট্টা জবাব, ‘না কথা হয়নি, অভিনন্দনও জানাইনি।’ এরপর অধিনায়কত্ব নিয়ে আরও একটি প্রশ্ন করা হয় লিটনকে। এ সময় বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দেখুন, ওসব তো এখন অতীত। অধিনায়ক তো ঘোষণা করেই দিয়েছে। এখন এসব বলে আর লাভ কি? এখন বিপিএলে আছি। বিপিএল নিয়েই থাকতে চাই।’
আইএইচএস/এমএমআর