ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ইনিংসের মাঝখানে ব্যাটিংয়ে সমস্যা আছে আমাদের: লিটন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:২৭ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

অর্ধেকটা হয়ে গেছে; কিন্তু এখনো জমেনি এবারের বিপিএল। দর্শকরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সত্যিকার আস্বাদন পাচ্ছে না। টি-টোয়েন্টি মানেই চার-ছক্কার অবাধ প্রদর্শনী। হাই স্কোরিং গেম; কিন্তু এবারের বিপিএলে তার দেখা মিলছে না মোটেই। প্রতিবার সিলেটে রান হয়। হাই স্কোরিং গেম হয়। এবার তাও হয়নি। আর শেরে বাংলার পিচতো সেই শুরু থেকে রান খরায় ভুগছে।

এ পিচে ১৪০ প্লাসই যেন লড়াকু স্কোর। আজও প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের সাথে ১৪৯ রান করেও ৩২ রানে জিতেছে লিটন দাসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

শুধুই কি উইকেটের দোষ? পিচ স্লো, বল দেরিতে ব্যাটে আসছে। তাই ব্যাটারদের হাত খুলে বাহারি, চটকদার আর বিগ হিট নিতে সমস্যা হচ্ছে? নাকি ব্যাটাররা পরিবেশ বুঝে রানের চাকা সচল রাখতে পারছেন না? এ প্রশ্ন প্রতিনিয়তই ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে।

আজ বুধবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে একই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন দেশের অন্যতম সেরা উইলোবাজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ক্যাপ্টেন লিটন দাস।

লিটন উইকেটকে পুরোপুরি দোষ দিতে নারাজ। তার মনে হয়, উইকেটে যারা হিসেব-নিকেশ করে ব্যাট চালাতে পারেন, তারা রান করতে পারবেন। তাই লিটনের ব্যাখ্যা, ‘সব সময় উইকেটকে দোষ দেওয়ার, তা কিন্তু নয়।’

আজ বুধবার যে পিচে খেলা হয়েছে, তাতে আগে ব্যাট করা কুমিল্লার ১৭০ রান করা উচিৎ ছিল বলেও মনে হয় লিটনের। তিনি বলেন, ‘সামহাউ আমরা তা পারিনি।’

লিটনের অনুভব, ইনিংসের মাঝখানে ব্যাটিংয়ে সমস্যা আছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। তার ভাষায়, ‘আমাদের কিছু ঘাটতি আছে। বাংলাদেশ দলেও আমরা এই জিনিসটার ভুক্তভোগি। পাওয়ার প্লে-স্টার্ট করলে মাঝখানে খেলতে পারি না। আবার মাঝখানে খেলতে পারলে ফিনিশ করতে পারি না। এখনো আমরা শেখার ধাপে আছি, এমন না যে ভালো দল আমরা। বিপিএলের গেইমগুলো চলতে চলতে আমরা এক পর্যায়ে শিখে যাব কিভাবে মাঝের ওভারে খেলতে হয়।’

লিটন স্বীকার করেন, ‘বাংলাদেশে পাওয়ার হিটার খুব কম। গায়ের শক্তি দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের ব্যাটারদের মত হাত খুলে খেলার শক্তি কম; কিন্তু বিকল্প হিসেবে যে সিঙ্গেলস ও ডাবলসে খেলে রানের চাকা সচল রাখা সম্ভব- সেই কাজটাই ঠিকমত হয় না।’

লিটনের ভাষায়, ‘আমরা কেউ পাওয়ার হিটার না। গায়ে এত জোর আছে যে ছয় মারব খালি তাও না; কিন্তু আমাদের মত শরীর নিয়ে অন্য দেশের খেলোয়াড়রাও টি-টোয়েন্টিতে অনেক রান করছে।’

তারা কিভাবে খেলছে? কুমিল্লা ক্যাপ্টেন নিজেই সমাধান দিলেন, ‘তারা (অন্য দেশের মিডল অর্ডাররা) এক দুই করে খেলে তারপর বাউন্ডারি খুঁজতেছে। আমরা চেষ্টায় আছি এসব করার। হয়ত আস্তে আস্তে আসবে।’

এআরবি/আইএইচএস/