ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

১০ম উইকেট জুটির চমকে মানরক্ষা পাকিস্তানের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪

ডেভিড ওয়ার্নারের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ এটি। এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এরইমধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যে কারণে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ ও সিরিজকে স্মরণীয় করে রাখতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার ইচ্ছে জানিয়েছেন অসি ওপেনার ওয়ার্নার। তার ইচ্ছে পূরণে উঠেপড়ে লেগেছেন সতীর্থরা।

হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে মাঠে নেমে সিডনি টেস্টের প্রথম দিনেই পাকিস্তানকে ৭১.১ ওভারে ৩১৩ রানে অলআউট করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অসি পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছেন পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটাররা।

পুরো ম্যাচে চমক ছিল ১০ম উইকেটে আমের জামাল ও মির হামজার ৮৬ রানের জুটি। গত ২৩ বছরে শেষ উইকেটে এটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮৮ রানের অপরাজিত জুটি করেছিলেন ইউনুস খান ও রাহাত আলি।

যদি জামাল ও হামজা জুটিটি করতে না পারতেন, তাহলে হয়তো ২৫০-এর আগেই অলআউট হতে হতো পাকিস্তানকে। শেষ এই জুটিতে বলতে গেলে পুরো অবদানই আমের জামালের। এই জুটিতে মির হামজার অবদান কেবল ৭ রানের। বাকি সব রানই এসেছে জামালের ব্যাট থেকে।

australia

বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ব্যাট করতে নেমে দলীয় রানের চাকা ঘোরার আগেই প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এমনকি দুই ওপেনারকে রানের খাতাই খুলতে দেয়নি মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজলউড।

২ বল খেলে ০ রানে সাজঘরে ফেরত যান ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। স্টার্কের বলে স্মিথের হাতে ক্যাচ হন তিনি। নিজের অভিষেক ম্যাচ রাঙাতে পারেননি আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুব। তিনিও ফেরেন ২ বলে ০ রান করে। হ্যাজলউডের বলে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

বাবর আজম তো গত বছরের পুরোটা সময় ধরেই ব্যাট-বলের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। কোনোভাবেই নিজের চেনা রূপে ফিরতে পারছেন না। নিজ দলের লজ্জা এড়ানোর এই ম্যাচেও নিজেকে তুলে ধরতে পারলেন না তিনি। যদিও দলীয় ৪ রানের মাথায় দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বাবর দলকে কিছুটা সামনে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন। ৪০ বলে ২৬ রান করে কামিন্সের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।

এরপর ব্যাট করতে নামা সৌদ শাকিল ফিরেছেন ১২ বলে ৫ রান করে। অসি অধিনায়ক কামিন্সের বলে ক্যারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শাকিল। তারপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শান মাসুদ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। যদিও বিপদ কাটিয়ে তুলতে পারেননি তারা। ৭০ বলে ৩৫ রান করা মাসুদকে স্মিথের হাতের ক্যাচ বানান মিচেল মার্শ। ফলে ভেঙে যায় ৪৯ রানের জুটি।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৩ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। অসিদের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি হাঁকান এই ডানহাতি ব্যাটার। দলীয় ১৯০ রানের মাথায় কামিন্সের বলে হ্যাজলউডের হাতে ধরা পড়েন তিনি। রিজওয়ানের সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি গড়া আগা সালমানও হাঁকান ফিফটি (ক্যারিয়ারের পঞ্চম)। স্টার্কের বলে হেডের হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি করেন ৬৭ বলে ৫৩ রান।

অলরাউন্ডার আমের জামাল দলের দুর্দিনে তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি হাঁকান। তিনি করেছেন ৯৭ বলে ৮২ রান।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আগের ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করা প্যাট কামিন্স এই ম্যাচে বল হাতে প্রথম ইনিংসেই ৫ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ২টি উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক।

আইএইচএস/