ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

আশরাফুলের চোখে বাংলাদেশের হারের মূল কারণ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর হতে পারতো এক উৎসব আনন্দমুখর দিন। ইংরেজি বছরের শেষ দিনটি হতে পারতো বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন ইতিহাসের সাক্ষী। সেটা আর হলো না।

যে শহরে ২ বছর আগে প্রথম টেস্ট জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছিল মুমিনুল হকের দল, সেই মাউন্ট মুঙ্গানুইতে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে সাফল্যের নতুন ইতিহাস রচনা করার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।

কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সে সুযোগ হলো হাতছাড়া। উইকেটের চরিত্র, গতি প্রকৃতি না ঠাউরে লক্ষ্যহীন ব্যাটিংয়ের চড়া মাশুল দিলো শান্তর দল। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল মনে করেন, খুব ভালো একটা সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলো না বাংলাদেশ।

রোববার সন্ধ্যায় জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে আশরাফুলের কণ্ঠে শুরুতেই খানিক হতাশা। আফসোস নিয়ে বললেন, ‘খুব ভালো সুযোগ ও সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আমরা তা কাজে লাগাতে পারলাম না।’

আশরাফুল মনে করেন, আজকের উইকেটটা ১৬০-১৭০'র উইকেট ছিল না। ১৪০-এর পিচ। ১৪৫ করলেই হয়তোবা জেতার সম্ভাবনা থাকতো।

হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘প্রথমত, টসটা একটা বড় কারণ। টস হারার পর আমরা খানিক হতোদ্যম হয়ে পড়েছিলাম। মনে হয় মোরালি ডাউন হয়ে গেছি। যেহেতু নেপিয়ারে শেষ ওয়ানডে আর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আগে বোলিং করে সহজ জয় ধরা দেয়। তাই মনে হচ্ছিল, আগে বোলিং করতে পারলে ভালো হতো। যদিও এ মাঠের ট্র্যাক রেকর্ড বলে আগে ব্যাটিং করে জয়ের হার বেশি। ১০ খেলার ৮ টিতেই আগে ব্যাট করা দল জিতেছে।’

আশরাফুল মনে করেন, উইকেট বুঝে ব্যাটিং টার্গেট ঠিক করতে না পারার পাশাপাশি নিজ দলের বোলিং শক্তি সম্পর্কে ধারণা না নিয়ে ব্যাটিং করাও ছিল বড় ভুল। অদূরদর্শিতা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলাররা সেই ওয়ানডে সিরিজ থেকে দুর্দান্ত বোলিং করছে। তারা নেপিয়ারে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ২ ফরম্যাটে জয় এনে দিয়েছে, তাদের ১৪০+ স্কোর দিতে পারলে আমাদের জেতার জোর সম্ভাবনা থাতবে। এই বোধটাই ছিল না। থাকলে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ হতো ভিন্ন।’

মাউন্ট মুঙ্গানুইতে এ পিচে ঠিক কত রান হলে লড়াই করা যাবে, জেতার সম্ভাবন বেশি থাকবে, সেই অনুভবটা কম ছিল। তাই পারেনি বাংলাদেশ। আশরাফুল বলেন, ‘আসলে মনে হয় না কেউ অনুভব ও উপলব্ধি করে ব্যাট করেছে। বোলাররা ভালো বোলিং করছে। এ পিচে ১৮০ বা ২০০ না করে ১৪০ থেকে ১৪৫ রান করতে পারলেও আমাদের সম্ভাবনা থাকবে, এ ধারণাটা হয়তো ছিল না।’

আশরাফুল যোগ করেন, ‘আমাদের ব্যাটাররা যে অ্যাপ্রোচে ব্যাট করেছে, ১৪০-১৫০ করতে কিন্তু সেই অ্যাপ্রোচ মানে চালিয়ে বা হাত খুলে খেলার দরকার পড়ে না। বল পিছু সিঙ্গেলস, ফাঁকা জায়গায় ফিল্ডারের নাগালের বাইরে বল ঠেলে ডাবল নিয়ে রান চাকা সচল রাখার চেষ্টা করলেই অনায়াসে ১৪০-১৪৫ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু সবাই ১০-১২ বল করে খেলে তারপর আউট হয়েছে। খুব অল্প সময় ও সংগ্রহে প্রায় সব ব্যাটারই সাজঘরে ফেরত গেছে।’

‘(আউট হওয়া বলগুলো) ভালো ডেলিভারি না। প্রায় সবগুলোই সফট ডিসমিস্যাল। এবং সবার মাঝেই ছিল তাড়াহুড়ো আর চালিয়ে খেলার প্রবণতা। সেটাই বুমেরাং হয়েছে।’

এআরবি/এমএমআর/এমএস