গুজরাট ছেড়ে মুম্বাইতে, হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে দিনভর নাটক!
আইপিএলের আগামী মৌসুমের জন্য ফ্রাঞ্চাইজিগুলো পুরনো ক্রিকেটারদের কাকে রাখবে আর কাকে ছেড়ে দেবে- সে সিদ্ধান্ত জানানোর শেষদিন ছিল রোববার। নিয়ম মোতাবেক ফ্রাঞ্জাইজিগুলো রিটেইন খেলোয়াড়দের নাম জানিয়ে দেয়। সে সঙ্গে জানিয়ে দেয় ছেড়ে দেয়া ক্রিকেটারদেরও নাম।
কিন্তু গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে রোববার দিনভর নাটক দেখা গেছে। একবার শোনা গেছে তাকে রেখে দিচ্ছে গুজরাট। আরেকবার শোনা গেলো, না তাকে কিনে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বেশ কয়েকবার এসব শোনা যাওয়ার পর মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, পুরনো ফ্রাঞ্চাইজিতেই ফিরেছেন তিনি।
রোববার সকাল পর্যন্ত খবর ছিল, গুজরাট টাইটান্স ছেড়ে দেবে হার্দিক পান্ডিয়াকে; কিন্তু রোববার বিকালে দেখা যায়, হার্দিককে শেষ মুহূর্তে ধরে রেখেছে গুজরাট। যদিও তার কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার জানা গেছে, তাকে কিনে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সরাসরি টাকা দিয়ে গুজরাটের আইপিএল জয়ী অধিনায়ককে কিনেছে তারা। কোনও ক্রিকেটারের বিনিময়ে নয়। যদিও এর নেপথ্যে রয়েছে জটিল অঙ্ক।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ়’ হার্দিকের খবর দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে হার্দিক মুম্বাইয়ে যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে মুম্বাই ও গুজরাট ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে আইনি বিষয় মিটে গিয়েছে। হার্দিককে সরাসরি টাকা দিয়ে কিনেছে মুম্বাই।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিদেশি অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে আরসিবিতে (রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু) বিক্রি করেছে মুম্বাই। নিলামে গ্রিনকে ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এবার তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন রোহিত শর্মারা। হার্দিককে ছেড়ে দিতে মুম্বাইয়ের কাছে ১৫ কোটি টাকা চেয়েছিল গুজরাট। গ্রিনকে ছেড়ে দেওয়ায় সেই টাকা মুম্বাইয়ের কাছে চলে এসেছে। ওই টাকাতে হার্দিককে কিনেছে তারা।
রোববার বিকেল পর্যন্তও হয়তো এই চুক্তি পাকা হয়নি। কারণ, গুজরাট কাদের ধরে রেখেছে আর কাদের ছেড়েছে সেই তালিকা দিতে দেরি করছিল তারা। শেষ মুহূর্তে তালিকা পাঠানো হয়।
সেখানে দেখা যায়, হার্দিকের নাম ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকায় সবার শেষে রয়েছে। সাধারণত কোনও দলের অধিনায়কের নাম সবার আগে থাকে। কিন্তু হার্দিকের নাম সবার শেষে থাকার অর্থ, শেষ মুহূর্তে হার্দিককে দলে রাখা হয়েছে। তার পরেই জানা গেছে, গুজরাট ছেড়ে মুম্বাইয়ে গেলেন হার্দিক। ‘ঘরে’ই ফিরেছেন তিনি।
আইএইচএস/