ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

মনে করেন ফাহিম

অপ্রস্তুত দল নিয়ে বিশ্বকাপে গেছে বাংলাদেশ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

সামনে ভারত (আগামীকাল ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার) ও দক্ষিণ আফ্রিকার (২৪ অক্টোবর মুম্বাইতে) বিপক্ষে দু দুটি ‘বিগ’ ম্যাচ। ২৪ ঘণ্টা আগে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারলেও শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে প্রোটিয়ারা উড়ছিল বাতাসে। আর ভারতের জয়রথ আছে সচল।

রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, জাসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব আর রবীন্দ্র জাদেজারা আছেন ফর্মের চূড়োয়।এমন দুটি শক্তিশালী ও অন্যতম ফেবারিটের সাথে পরের দুই খেলায় কী করবে বাংলাদেশ?

ভক্ত ও সমর্থকরা গভীর চিন্তায়। তাদের উদ্বেগ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে চরমভাবে পর্যুদস্ত হলে পরের খেলাগুলোয় ঘুরে দাঁড়ানো যে আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

সাপোর্টাররা যত উদ্বিগ্নই হোন না কেন, সাকিব-মুশফিকদের শিক্ষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম শঙ্কিত নন। বরং দেশের ক্রিকেটের অন্যতম মেধাবী ও দক্ষ ক্রিকেট বোদ্ধা, বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকের চিন্তা ভিন্ন।

নাজমুল আবেদিন ফাহিম ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা দুটিকে দল সাজানো, একাদশ চূড়ান্ত করা এবং স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণের ক্ষেত্র বলে ভাবতে চান।

আজ বিকেলে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে ফাহিম বলেন, ‘আমাদের পরের খেলা দুটি বড় দলের বিপক্ষে। আমার মনে হয় এই দুটি ম্যাচে আমাদের দল গোছানোর কাজটা করে ফেলতে হবে।’

বিশ্বকাপের চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে এসে দল সাজানোর কথা বলছেন, তবে কি আপনার মনে হয় বাংলাদেশ অপ্রস্তুত ও অগোছালো অবস্থায় মাঠে নেমেছে?

ফাহিমের সোজা সাপ্টা জবাব, ‘অবশ্যই। আমাদের দল গোছানো ছিল না। আসলে আমরা বিশ্বকাপ সামনে রেখে সময়মত দল গোছাতে পারিনি। হাতে অনেক সময় থাকার পরও আমরা একাদশ সাজাতে ব্যর্থ হয়েছি।

কিভাবে? সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফাহিম বলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ওপেনিংয়ে নাইম শেখকে নেওয়া আর মিডল অর্ডারে শামীম পাটোয়ারীকে দিয়ে একাদশ সাজানো। কিন্তু তারা নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে আমরা একদম শেষ মুহূর্তে তানজিদ তামিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দলে নিয়েছি। এর মধ্যে তানজিদ তামিম একেবারেই অনভিজ্ঞ। বিশ্বকাপের মত বড় আসরে খেলার মানসিক প্রস্তুতি ছিল না হয়তো। আর রিয়াদ তো শেষ ৬ মাস জাতীয় দলের বাইরেই ছিল। মোদ্দা কথা, দুজন অপ্রস্তুত পারফরমারকে নিয়ে শুরু আমাদের বিশ্বকাপ যাত্রা।’

ফাহিমের উপলব্ধি, যেহেতু কম্বিনেশন ঠিক ছিল না, তাই লক্ষ্য-পরিকল্পনায়ও গলদ ছিল। আফগানরা ২৮৪ আর নেদারল্যান্ডস ২৪৫ রানের ছোট পুঁজিকেও ডিফেন্ড করে ইংল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলকে হারিয়েছে। বাংলাদেশ তা পারেনি। উল্টো বড় দলের সাথে খাবি খেয়েছে। কেন? ফাহিমের কথা, ‘আমার মনে হয় সেটা হয়েছে মূলত নিজেদের গুছিয়ে উঠতে না পারার কারণে।’

তাহলে আফগানদের বিপক্ষে অমন উদ্ভাসিত জয় ধরা দিলো কিভাবে? ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘সেটা দিয়েছে এশিয়া কাপে ভারতকে হারানো আর বিশ্বকাপের গা গরমের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ধারাতে থাকায়। এতেই বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে আফগানদের সাথে জিতেছে। সেটা আফগানদেরও ছিল প্রথম খেলা। এখন আফগানরা ছন্দ ফিরে পেয়েছে। এখন তাদের সাথে খেলা পরলে কী হতো কে জানে? তারপরও আমি বলবো আমরা ভাগ্যবান যে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের সাথে খেলা বাকি।’

‘আমার বিশ্বাস এখনও এই তিনটা ম্যাচ আমরা জিততে পারি। আর যদি তা হয়, তাহলে আমাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা ফল হবে। সেটা সম্ভব এখনও। তবে তার আগে নিজেদের গুছিয়ে নিতে হবে’-যোগ করেন ফাহিম।

ফাহিম এক বুক আশা নিয়ে বলেন, ‘আমরা দলটাকে গোছাতে পারলে হয়তো প্রথমবারের মত ৪ ম্যাচ জিতে দেশে ফিরতে পারবো। যদি পারি তাহলে আমাদের ক্রিকেটের আগামী দিনের পথচলা হবে সুন্দর, মসৃণ। আর যদি তা না হয়, তাহলে পথচলা হবে বাধাগ্রস্ত।’

এআরবি/এমএমআর/জিকেএস