এ কারণেই ৫ উইকেট পাননি এবাদত!
ঢাকা টেস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিন তার নামের পাশে ৪৭ রানে ৪ উইকেট। আর একটি উইকেট হলেই টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট শিকারি হতেন এবাদত হোসেন। খানিক আফসোস থাকারই কথা।
তাই দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা এবাদতের কাছে সাংবাদিকদের প্রথম প্রশ্ন, ৫ উইকেট না পাওয়ায় কোনো অতৃপ্তি আছে কিনা? এবাদতের জবাব, ‘না, আলহামদুলিল্লাহ। আফসোস নেই।’
তবে এই ৫ উইকেট না পাওয়ার একটা টেকনিক্যাল ব্যাখ্যা আছে এবাদতের। তিনি জানান, সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ দুই ওভার পিছিয়ে ছিল। তাই আফগানদের ৭ উইকেট পড়ার পর অধিনায়ক লিটন দাস সেই ওভারের ঘাটতি পোষাতে পেসারদের বদলে দুই স্পিনারকে বোলিংয়ে আনেন। দুই স্পিনার তাইজুল-মিরাজই শেষ ৩ উইকেটের পতন ঘটান। তাতে আর ৫ উইকেট পাওয়া হয়ে উঠেনি এবাদতের।
টাইগার পেসার বলেন, ‘আমরা দুই ওভার পিছনে ছিলাম। আমরা যদি পিছিয়ে থাকি তাহলে তো সমস্যা, এজন্য ক্যাপ্টেন দুই পাশ থেকে দুজন স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করেন। টিম ফার্স্ট, সেদিক দিয়ে ঠিক আছে। যেহেতু ব্যক্তিগত অর্জনের দিক থেকে আমার কাছে দলের চাওয়াটা বড় বিষয়।’
উইকেটের সাহায্য ছিল। বাংলাদেশ তাই আফগানদের ভয় দেখাতে অনেকগুলো স্লিপ নিয়ে বোলিং করেছে। দেশের মাটিতে এতগুলো স্লিপ নিয়ে বোলিং কতটা উপভোগ্য?
এবাদত খানিক রোমাঞ্চিত। তিনি বলেন, ‘আমার দেখা এই প্রথম যে এই ধরনের উইকেট আমরা পেয়েছি। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যে, তিনটা ফাস্টবোলার এরকম উইকেটে খেলা। এটাও আমাদের অনেক বড় সৌভাগ্য। আমরা চেষ্টা করেছি যে, ওদের যত কম রানে আউট করা যায়। আসলে প্ল্যানিংটা কাজে লাগাতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।’
বাড়তি বাউন্স কি আগে থেকে ঠিক করা বা পূর্ব পরিকল্পিত? এবাদত বলেন, ‘না, বাউন্স তো প্ল্যান করে কিছু করতে পারবো না। বাউন্স তো উইকেট থেকে পেয়েছি আমরা। যেহেতু উইকেটে পেস আছে বাউন্স আছে, আমরা সেটাই কাজে লাগিয়েছি। ওরা ওই জিনিসটাতে একটু সমস্যায় পড়ে।’
টানা বাউন্সার করা আর চতুর্থ উইকেট পাবার পর ক্যাচ ধরা মুমিনুলকে কী বলছিলেন? জানতে চাওয়া হলে এবাদতের জবাব, ‘আমি যে উইকেটগুলো পেয়েছি সেগুলো টানা বাউন্স করার ফলে না। আমি ব্যাটারকে সামনে বল করে সেটআপ করেছি। এরপর সারপ্রাইজিং বাউন্সার করছি।’
মুমিনুলের ক্যাচ নিয়ে এবাদত বলেন, ‘খুব ভালো একটা ক্যাচ ধরেছেন উনি। এরকম ক্যাচ নরম্যালি যদি যখন পরিকল্পনা করে উইকেট নেওয়া হয়, তখন খুব ভালো লাগে। একটু আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলাম তখন, তাই ওনাকে ধন্যবাদ দিয়েছিলাম আর কি!’
উইকেটের সহায়তা থাকলে বাংলাদেশের পেসাররাও প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে এই বার্তাটা দেওয়া গেলো কিনা? এবাদত মনে করিয়ে দিলেন, ‘শেষ তিন বছর ধরে আমাদের পেস ডিপার্টমেন্ট বেশ ভালো উন্নতি করছে। বলি নাই যে আমরা এখনই ভালো হয়ে গেছি। কিন্তু শেষ তিন বছর ধরে আমরা চেষ্টা করছি যেন আমাদের উন্নতির গ্রাফটা উপরের দিকে নিয়ে যেতে পারি।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম