ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

দুই জয়ের পর আবারও পথ হারালো দিল্লি

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

আগের ম্যাচেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৭ রানের থ্রিলারে হারিয়েছিলো দিল্লি ক্যাপিটালস। হায়দরাবে খেলতে গিয়ে জয় নিয়ে ফিরেছিলো ডেভিড ওয়ার্নারের দল; কিন্তু পরের ম্যাচে নিজেদের মাঠেই সেই হায়দরাবাদের কাছে হারতে হলো দিল্লি ক্যাপিটালসকে। এই ম্যাচটিও হলো শ্বাসরুদ্ধকর। মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে সানরাইজার্সের কাছে হেরে গেলো তারা। মধুর প্রতিশোধ নিলো হায়দরাবাদ।

টানা ৫ ম্যাচ হারের পর জয়ের খোঁজ পেয়েছিলো দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম তারা হারিয়েছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (কেকেআর)। এরপর হারিয়েছিলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। এই দুই ম্যাচ জয়ের আবারও পথ হারালো তারা।

দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করেছিলো হায়দরাবাদ। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানে থেমে যেতে হয়েছে দিল্লিকে। আর মাত্র ৯টি রান করতে পারলেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারতো দিল্লি।

প্রতিটি ম্যাচেই দারুণ ব্যাটিং করেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে তিনি রানই করতে পারেননি। শূন্য রানে আউট হয়ে যান। তিনি যদি কিছু রান করতে পারতেন, তাহলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতেও পারতো।

দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ব্যাট করতে নেমে ওপেনার অভিষেক শর্মা ঝড় তোলেন। তবে অন্য ব্যাটাররা বলতে গেলে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৬ বলে ৫ রান করে আউট হন। ৬ বলে ১০ রান করে আউট হন রাহুল ত্রিপাথি।

অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম ১৩ বলে ৮ রান করে আউট হন। ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুক ২ বলে কোনো রানই করতে পারেননি। তবে টানা ৪ উইকেট হারানোর পর হেনরিক ক্লাসেন হাল ধরেন। তবে, এতক্ষণ হাল ধরে থাকা অভিষেক শর্মা আউট হয়ে গেলেন ৩৬ বলে ৬৭ রান করে। ১২টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

হেনরিক্স ক্লাসেন ২৭ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন তিনি। ২১ বলে ২৮ রান করে আউট হন আবদুল সামাদ। ১০ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন আকিল হোসাইন।

দিল্লির হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মিচেল মার্শ। ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা। অক্ষর প্যাটেল ২৯ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই শূন্য রানে আউট হয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ফিল সল্ট এবং মিচেল মার্শ মিলে ১১২ রানের জুটি গড়েন। এ সময় মনে হচ্ছিল দিল্লির জয় নিশ্চিত। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পরই পথ হারায় দিল্লি।

এ সময় ৩৫ বলে ৫৯ রান করা ফিল সল্ট আউট হয়ে যান মায়াঙ্ক মার্কান্দেকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে। ৯টি বাউন্ডারির মার রানে তিনি। মিচেল মার্শ ৩৯ বলে ৬৩ রান করে আউট হন। ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

মানিশ পান্ডে আউট হন ১ রান করে। ১২ রান করে আউট হন প্রিয়াম গার্গ। সরফরাজ খান আউট হন ৯ রান করে। ১৪ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল। শেষ দিকে নেমে ঝড় তুলেছিলেন অক্ষর প্যাটেল এবং রিপল প্যাটেল। ৮ বলে ১১ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি তারা।

আইএইচএস/