আরও একটি হাই স্কোরিং ম্যাচে মুম্বাইকে হারালো পাঞ্জাব
পাঞ্জাব কিংসের কেউ তেমন আহামরি খেলা দেখাতে পারেননি। তবে পুরো দলই ব্যাট এবং বল হাতে অবদান রেখেছিলো। যাবে বলে পুরোপুরি টিম ওয়ার্ক। তেমন একটি পারফরম্যান্সই হাই স্কোরিং ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ১৩ রানে হেরে গেলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
প্রথমে ব্যাট করা পাঞ্জাব কিংস সংগ্রহ করেছিলো ২১৪ রান। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানে থেমে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অথচ দলীয় পারফরম্যান্সের চেয়ে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সই ছিল বেশি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ক্রিকেটারদের।
পাঞ্জাবের হয়ে স্যাম কারান সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেছিলেন। হাফ সেঞ্চুরি ওই একটাই। অন্যদিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ক্যামেরন গ্রিন (৬৭) এবং সুর্যকুমার যাদব (৫৭) হাফ সেঞ্চুরি করেন। রোহিত শর্মার (৪৪) ইনিংসটাও ছিল হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি।
টস জিতে পাঞ্জাব কিংসকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত শর্মা। পাঞ্জাব একসময় ৯.৪ ওভারে ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২১৪ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন ক্যাপ্টেন স্যাম কারান। তিনি মাত্র ২৯ বলে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৫৫ রান করে আউট হন। কারান ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ২৮ বলে ৪১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন হারপ্রিত সিং। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। শেষ বেলায় ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৭ বলে ২৫ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন জিতেশ শর্মা।
এ ছাড়া ম্যাথ্যু শর্ট ১০ বলে ১১, প্রাভসিমরান সিং ১৭ বলে ২৬, অথর্ব টাইডে ১৭ বলে ২৯ ও লিয়াম লিভিংস্টোন ১২ বলে ১০ রানের যোগদান রাখেন। মুম্বাইয়ের হয়ে ১৫ রানে ২টি উইকেট নেন পিযুস চাওলা। ৪১ রানে ২টি উইকেট দখল করেন ক্যামেরন গ্রিন। অর্জুন টেন্ডুলকার ৩ ওভারে ৪৮ রান খরচ করে ১টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন জেসন বেহরেনডর্ফ ও জোফরা আর্চার।
পাল্টা ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই শুরু থেকেই পালটা লড়াই চালায়। যদিও জয়ের দোরগোড়ায় গিয়ে থেমে যেতে হয় রোহিত শর্মাদের। মুম্বাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২০১ রানে আটকে যায়। হাই-স্কোরিং ম্যাচে ১৩ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে পাঞ্জাব কিংস।
দল হারায় ব্যর্থ হয় সূর্যকুমার যাদবের মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরি। তিনি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন ক্য়ামেরন গ্রিনও। তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ৬৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। তিনি ২৭ বলে ৪৪ রান করে আউট হন। হিটম্যান ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। টিম ডেভিড ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
পাঞ্জাবের হয়ে অর্শদিপ সিং ২৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন ন্যাথন এলিস ও লিয়াম লিভিংস্টোন। ম্যাচে দুই ইনিংসে মিলিয়ে মোট ৪১৫ রান ওঠে। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন স্যাম কারান।
আইএইচএস/জেআইএম