৩৬ বলে উসমানের সেঞ্চুরি, মুলতানের রান বন্যা
বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন উসমান খান। যে ম্যাচে সেঞ্চুরি এসেছিলো খুলনা টাইগার্সে খেলা পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খানের ব্যাট থেকেও। উসমান খান যে এর চেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে পারেন, তার প্রমাণ দিলেন শনিবার রাতে।
রাওয়ালপিন্ডিতে পিএসএলের ম্যাচে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে মাত্র ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করে মুলতান সুলতান্স সংগ্রহ করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রানের বিশাল ইনিংস। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ২৫৩ রানে থেমে যায় কোয়েটা। মাত্র ৯ রানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে মুলতান।
পাকিস্তান সুপার লিগে যেন একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে প্রতিটি দল এবং প্রতিটি ম্যাচ। এক একটি ম্যাচে যেভাবে রান উঠছে, তাকে রীতিমত রান বন্যার লিগ বলা যায়। আগেরদিন পেশোয়ার জালমি ২৪২ রান করেও জিততে পারেনি। ২৪৪ করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলো মুলতান সুলতান্স।
এবার এই ম্যাচকেও ছাড়িয়ে গেলো মুলতানের সুলতানরা। যেন, তাদের বিপক্ষে যত বড় স্কোরই গড়ে তোলা হোক না কেন, মুলতান সেটাকে তাড়া করে জিতবেই। যদিও শনিবার রাতে রান তাড়া করে নয়, বিশাল স্কোর গড়েও ন্যুনতম ব্যবধানে জয়লাভ করেছে তারা।
রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বিপিএল খেলা ব্যাটার উসমান খানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে পাওয়া এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে আপাতত দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেলো মুলতান সুলতান।
টস জিতে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুলতানকে। ব্যাট করতে নেমে উসমান খানের ব্যাটিং ঝড়ের মুখে পড়ে কোয়েটা। মাত্র ২২ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর ৩৬ বলে পূরণ করেন সেঞ্চুরির মাইলফলক। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন উসমান। ১২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৯টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ১০২ রান এসেছে তার কেবল বাউন্ডারি আর ছক্কা থেকেই।
ঝড় ছিল অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটেও। ২৯ বলে ৫৫ রান করেন তিনি। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ৯ বলে ১৫ রান করে আউট হন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রাইলি রুশো। টিম ডেভিড করেন ২৫ বলে অপরাজিত ৪৩ রান। ২৪ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন কাইরন পোলার্ড।
জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান সংগ্রহ করে কোয়েটা। তবে জিতেও যেতে পারতো তারা। আব্বাস আফ্রিদি যদি শেষ মুহূর্তে এসে দুর্দান্ত বোলিং করে ৫ উইকেট না নিতেন! ওমাইর ইউসুফ ৩৬ বলে করেন ৬৭ রান। ৩১ বলে ৫৩ রান করেন ইফতিখার আহমেদ, ১০ বলে ২৮ রান করেন উমর আকমল।
৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। ১২০ রান করেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাননি উসমান খান। সেরার পুরস্কার উঠেছে আব্বাস আফ্রিদির হাতেই।
আইএইচএস/