১২৫ রানে অলআউট মাশরাফির সিলেট
বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার কী তাহলে খুব বেশি জমলো না? যদিও একটি ইনিংস এখনও বাকি। লো স্কোরিং ম্যাচও হতে পারে। আবার কুমিল্লা দাপটের সঙ্গে জিতেও যেতে পারে।
এতগুলো কথা লেখার মূল কারণ হচ্ছে, সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটিং। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের সাঁড়াসি বোলিংয়ের সামনে ১৭.১ ওভারেই কেবল ১২৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স।
কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে নির্দিষ্ট একজন ভালো বোলিং করেননি। সবাই গড়পড়তা ভালো বোলিং করেছেন। তানভির ইসলাম, আন্দ্রে রাসেল এবং মোস্তাফিজুর রহমান ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মইন আলি, সুনিল নারিন এবং মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই আন্দ্রে রাসেলের তোপের মুখে পড়ে সিলেট। দ্বিতীয় ওভারেই ৫ রান করে আউট হয়ে যান আফগান ওপেনার শফিকুল্লাহ গাফারি। এরপর ব্যাট করতে নেমে পুরো টুর্নামেন্টে সিলেটের হয়ে মাঠ কাাঁপানো ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় হয়ে যান রান আউট। কোনো রানই করতে পারেননি। দুর্ভাগ্যজনক আউট হওয়ার পর তার নামের পাশে কোনো রানই নেই।
জাকির হাসান করেন ২ রান। যে তরুণ তুর্কিরা সিলেটকে টেনে এতদুর এনেছে, তারাই আজ ব্যর্থ। চেষ্টা করেছিলেন কেবল নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ব্যাট থেকেই সর্বোচ্চ ৩৮ রান বেরিয়ে আসে। ২৯ বলে এই রান করেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন ১টি ছক্কার মার।
মাশরাফি বিন মর্তুজা কিছুটা ঝড় তোলেন। ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কা মেরে গ্যালারি গরম করে তোলেন। কিন্তু ১৭ বলে ২৬ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে তানভিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। মুশফিকুর রহিম ২২ বলে করেন ২৯ রান। জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল কোনো রানই করতে পারেননি।
জর্জ লিন্ডে ১৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন। তানজিম হাসান সাকিব করেন ৬ রান। ইসুরু উদানা নামলেন আর উঠলেন। কোনো রান করতে পারেননি। রুবেল হোসেনও অপরাজিত থেকে যান কোনো রান না করেই।
আইএইচএস/