ফিল্ডার মিস করেছে আমার তো কিছু করার নেই: আফিফ
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয়ও পেয়েছে।
কিন্তু আরব আমিরাতের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শেষ ওভারে গিয়ে ৭ রানের জয় কতটা স্বস্তির? ম্যাচে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারতো, আরব আমিরাতের জয়ের ভালো সুযোগই ছিল। বলা যায়, কপালগুণে বেঁচে গেছে টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৭৭ রানে ছিল না ৫ উইকেট। সেখান থেকে নুরুল হাসান সোহান আর আফিফ হোসেনের জুটিতে ১৫৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ইনিংসটা মূলত দাঁড়িয়েছিল আফিফ হোসেনের ৫৫ বলে ৭৭ রানের হার না মানা ইনিংসে ভর করে। অথচ এই আফিফ আউট হয়ে যেতে পারতেন ব্যক্তিগত ২ রানেই। সেটা হলে বাংলাদেশের পুঁজিটা কত হতো, বলা মুশকিল। জয়টা যে মাত্র ৭ রানের!
শুধু ২ রানে নয়, ৬৩ রানে আরেকবার জীবন পান আফিফ। দুই জীবন কাজে লাগিয়ে খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ আসতেই আফিফ বলে ওঠেন, ‘দুইটা লাইফের কথা যে বললেন, ওটা পার্ট অব গেম। ফিল্ডার মিস করেছে, আমার তো কিছু করার নেই।’
তিনি যখন ক্রিজে আসেন, দল ভীষণ চাপের মুখে ছিল। আফিফ জানালেন, চাপের মুখে ব্যাটিং করতেই ভালো লাগে তার। বাঁহাতি এই ব্যাটারের কথা, ‘সবসময় চাপের মুখে ব্যাটিং করতে ভালো লাগে। আমি শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম, সফল হওয়ায় ভালো লাগছে।’
দুবাইয়ের উইকেট কেমন ছিল? আফিফ জানালেন, ‘শুরুতে একটু কঠিন ছিল। বল গ্রুপ করছিল। টপ অর্ডার ভালো করতে পারিনি, পরের ম্যাচে ইনশাআল্লাহ করবে। এটা কোনো সমস্যা না। আমি আর সোহান ভাই ব্যাট করার সময় আস্তে আস্তে উইকেট ভালো হচ্ছিল দেখে আমরা আরও ভালো ব্যাটিং করতে পেরেছি।’
আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৫৮ রানের পুঁজি। রানটা কি যথেষ্ট ছিল? আফিফের জবাব, ‘উইকেটের আচরণ যেমন ছিল, বিশ্বাস ছিল বোলাররা ভালো করলে এই রান নিরাপদ। দুজনেরই বিশ্বাস ছিল শেষপর্যন্ত উইকেটে থাকলে ভালো স্কোর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারব।’
এমএমআর/জিকেএস