আফিফ-সোহানের জুটিতে আরব আমিরাতকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ
আফিফ হোসেন ধ্রুব আর নুরুল হাসান সোহান উইকেটে থাকলেন কেবল ৯ ওভার। এই ৯ ওভারের জুটির ওপর ভর করেই আরব আমিরাতের সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। এই দুই ব্যাটার ৯ ওভারে গড়েছেন ৮১ রানের অনবদ্য জুটি। তাতেই স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ালো ১৫৯ রানের।
টি-টোয়েন্টি তরুণদের খেলা। প্রায় প্রতিটি দলই তারুণ্যের জয়োগান দিয়ে বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ দলেও তারুণ্যের আধিক্য। তবে, বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ঠিক তারুণ্যের এই খেলাটাতেই কেন যেন পিছিয়ে।
যদিও আরব আমিরাতের বিপক্ষে এই ধারণা বদলে দেয়ার চেষ্টা করেন যাচ্ছেন তরুণ ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুব। একের পর এক যখন উইকেট পড়ছিল, তখন আফিফই ঘুরে দাঁড়ালেন এবং তুলে নিলেন দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি। ৩৮ বলে ৫টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেন ৫৫ বলে অপরাজিত থাকলেন ৭৭ রানে। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মেরেছেন তিনি। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান শেষ মুহূর্তে ঝড় তুলে ২৫ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে। ২টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মেরেছেন তিনি।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে যারপরনাই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। টপ অর্ডাররা কিছুই করতে পারেনি। দুই মেকশিফট ওপেনার মিরাজ, সাব্বির রহমান এবং তিন নম্বরে নামা লিটন দাস পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কোনো রান না করে আউট হয়ে যান সাব্বির। মিরাজ করেছিলেন ১৪ বলে ১২ রান। এরপর ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান লিটন কুমার দাস। ওপেনিং থেকে তিন নম্বরে নেমে আসার প্রভাবই কী তাহলে পড়লো লিটনের ব্যাটিংয়ে?
ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা দেখালেন ইয়াসির আলী রাব্বিও। ৭বল খেলেছেন, করেছেন কেবল ৪ রান। এরপরই মেইয়াপ্পনের বলে বোল্ড হয়ে যান রাব্বি। অর্থ্যাৎ ৪৭ রানে পড়লো বাংলাদেশের ৪ উইকেট।
আইএইচএস/