ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

এক ওপেনার বিজয়, আরেকজন কে?

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২২

সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের অন্যতম চিন্তার কারণ উদ্বোধনী জুটি। গতবছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত খেলা ১৯টি কুড়ি ওভারের ম্যাচে ভিন্ন ভিন্ন ১০টি উদ্বোধনী জুটি খেলিয়েছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।

এই ১৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিন ম্যাচে ৩০ রানের বেশি করতে পেরেছে উদ্বোধনী জুটি। আসন্ন এশিয়া কাপেও বড় মাথা ব্যথা এই উদ্বোধনী জুটি নিয়েই। এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে প্রাথমিকভাবে রাখা হয়েছিল মাত্র দুজন ওপেনার- এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমন।

এ দুজনের কেউই আবার টি-টোয়েন্টিতে পরীক্ষিত নন। মাত্র এক ম্যাচ খেলেছেন ইমন। আর দীর্ঘদিন পর এই ফরম্যাটে ফেরা বিজয় ছয় ম্যাচে করতে পেরেছেন মাত্র ৮৫ রান। তবু বিজয়কেই এক নম্বর ওপেনার হিসেবে ধরা হচ্ছে এশিয়া কাপে। ওপেনার সংকটে শেষ মুহূর্তে দলে নেওয়া হয়েছে নাইম শেখকে।

তবে বিজয়ের সঙ্গে যে নাইম শেখই ইনিংসের সূচনা করবেন তা এখনও চূড়ান্ত নয়। বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওপেনিংয়ে শুধুমাত্র বিজয়ের জায়গাই নিশ্চিত। তার সঙ্গে আরেকজন ওপেনার কে হবেন, তা এখনও ঠিক করেনি বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে সুমন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের ভাবনা উন্মুক্ত রেখেছি, মনটা খোলা রাখছি। এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি কে ওপেন করবে। অবশ্যই নাইম একটা অপশন। সে অতীতেও আমাদের হয়ে ওপেন করেছে। আপনারা জানেন, আমরা একটু ভিন্ন ক্রিকেট খেলতে চলেছি, এ জিনিসটা নিয়ে অনেক কথা বলেছি। নাইমকেও সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।’

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ মঙ্গলবার। তার আগেই দ্বিতীয় ওপেনার ঠিক করা হবে জানিয়ে সুমন বলেন, ‘যদি নাইম খেলে অবশ্যই সেভাবেই খেলার চেষ্টা করবে। আমরা এখনও ঠিক করিনি কে খেলবে। বিজয় নিশ্চিতভাবেই খেলবে, তার সঙ্গে কে খেলবে তা আগামী এক-দুইদিনের মধ্যে ঠিক করে ফেলবো।’

প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের দুই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দুই দলেই রয়েছেন রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাদের মতো বিশ্বসেরা স্পিনাররা। তাদের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি কেমন সে বিষয়ে জানতে চাওয়া সুমন বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আপনারা দেখেছেন আমরা নেটেও কিছু স্পিনার নিয়ে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের নাম বললেন তারা কিন্তু বিশ্বমানের স্পিনার। সব দলের সঙ্গেই কিন্তু তারা ভালো করে থাকে। ম্যাচ জিততে হলে তাদের বিপক্ষেও ভালো খেলতে হবে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে সেই পরিকল্পনাগুলো মাঠে বাস্তবায়ন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

এসময় ফিল্ডিং নিয়ে চিন্তার কথা জানিয়ে সুমন বলেন, ‘ফিল্ডিং একটা চিন্তার জায়গা, সত্যিই। আমরা বড় ম্যাচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ক্যাচ ফেলেছি, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মিস ফিল্ডিং করেছি। একটা বড় টুর্নামেন্ট জিততে হলে, ভালো ফিল্ডিং করে জিততে হবে। ব্যাটিং-বোলিং ভালো খারাপ যাবে, ফিল্ডিংটা আপনার সবসময় ভালো করতে হবে।’

‘একটা দল যেভাবে যেতে চায়, সেভাবে এগোনোর জন্য ফিল্ডিংটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এখানে কিন্তু বেশ কিছু ভালো ফিল্ডার রয়েছে, যারা অনেক সময় ভুল করে থাকে। এইখানে আসলে ভুল করার অবকাশ থাকবে না। ফিল্ডিংয়ের জন্য আলাদা সময় সবসময়ই দেওয়া হয়। আশা করি এই ম্যাচগুলোতে আমাদের ফিল্ডিংয়ে ভুলগুলো কম হবে।’

এসএএস/এমএস