ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

মুখে কুলুপ এঁটে দেওয়া হচ্ছে ডোমিঙ্গোর!

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২২

আর কদিন পর এশীয় ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আরব আমিরাতের শারজা আর দুবাইতে হবে ব্যাট বলের ধুম-ধারাক্কা লড়াই। এশিয়ার আর সব ক্রিকেট শক্তির মতো বাংলাদেশও অংশ নিচ্ছে এ আসরে।

টি-টোয়েন্টিতে বরাবরের দূর্বল, জীর্ণ-শীর্ণ বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আগে নিজেদের দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে নতুন কিছু করার মানসে পরিবর্তন এনেছে কোচিং প্যানেলে। হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে বাদ দিয়ে ভারতের টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট শ্রীধরন শ্রীরামকে উড়িয়ে আনা হয়েছে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে এবং তিনিই এশিয়া কাপে অঘোষিত হেড কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে এই হেড কোচকে সরিয়ে শ্রীরামকে দায়িত্ব দেওয়া আর বিদায়ী (টি-টোয়েন্টিতে) হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর কোচিং দর্শন ও স্টাইল নিয়ে মন্তব্য করা নিয়ে ভেতরে ভেতরে চলছে মন কষাকষি।

টিম ডিরেক্টর, বোর্ডের অন্যতম শীর্ষ পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন মিডিয়ার সামনে রাসেল ডোমিঙ্গোর টি-টোয়েন্টি কোচিং দর্শন আর স্টাইল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রাথমিকভাবে তেমন কিছু না বললেও দক্ষিণ আফ্রিকান ডোমিঙ্গোও এখন পাল্টা জবাব দিয়েছেন। এক পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোমিঙ্গো খালেদ মাহমুদ সুজনকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘চিৎকার, চেঁচামেচি করে কারো কাছ থেকে সেরা পারফরমেন্স আদায় করা যায় না।’

সেই সাক্ষাৎকারে দলের আরও কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও খোলামেলা মন্তব্য করেছেন ডোমিঙ্গো। তার এই লাগামছাড়া কথাবার্তায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বোর্ডের অভ্যন্তরে।

জাতীয় দল পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান জালাল ইউনুসও ডোমিঙ্গোর খোলামেলা কথাবার্তায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং ডোমিঙ্গোর অতিসাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বসে পরবর্তী কর্মপন্থা স্থির করার কথাও জানিয়েছেন জালাল।

ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানের কথায় আছে পরিষ্কার আভাস, বোর্ড নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি এড়াতে হয়তো ডোমিঙ্গোর মুখে তালা এঁটে দিতে চাচ্ছে।

প্রশ্ন ছিল রাসেল ডোমিঙ্গো তো অনেক কথাই বলেছেন। জাতীয় দলের ড্রেসিং রুমের সংস্কৃতি এবং খেলোয়াড় বদল কাউকে নেওয়া, ড্রপ দেওয়া অনেক কিছু নিয়েই মন্তব্য করেছেন ডোমিঙ্গো। সে প্রেক্ষিতে আপনার অনুভুতি এবং মন্তব্য কী? জবাবে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমি আসলে সবার সঙ্গে আলাপ করে মন্তব্য করতে চাই। এ সময় আমি মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

তবে কোনো কোনো কর্মকর্তার (খালেদ মাহমুদ সুজনকে ইঙ্গিত করে বলা ডোমিঙ্গোর মন্তব্য) আচরণ ও কথাবার্তা ড্রেসিং রুমে ক্রিকেটারদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মনোযোগ ও মনোসংযোগ নষ্ট করার কারণ হয়।

সে সম্পর্কে জালালের মত, ‘কিছু কিছু জিনিস আছে খেলোয়াড়দের ব্যাপারে। সেটা খেলোয়াড়দের জিজ্ঞেস করলেই হবে কারা হ্যাম্পারিং করে না করে। তাহলেই তো পরিষ্কার হয়ে যাবে।’

জালাল যোগ করেন, ‘এটা সত্য নয়। যদি কোনো মেসেজ দেওয়ার থাকে মেসেজ দেয়। এটা আমরা চাই, এভাবে আমরা চাই। এটা একেবারে খোলামেলা।’

ডোমিঙ্গো এরই মধ্যে পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে কিছু খোলামেলা মন্তব্য করেছেন। এমন কিছু কথা বলেছেন, যা বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিতে থেকে বলা সমীচিন নয়। সেগুলো সম্পর্কে বলতে গিয়ে জালাল পাল্টা ডোমিঙ্গোকে একহাত নিয়েছেন। তার ব্যাখ্যা, ‘অবশ্যই এটা কাম্য নয়। এখনও ডোমিঙ্গোর সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে এবং সরাসরি কিছু অভিযোগ আছে। এই অভিযোগগুলো আমি খন্ডন করছি না।’

তবে কি ডোমিঙ্গোকে কারন দর্শানো নোটিশ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে? এ প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে জালাল বলেন, ‘আমরা নিজেদের মাঝে আলাপ আলোচনা করবো। আমি মাননীয় সভাপতিকে জানিয়েছি, উনিও দেখেছেন নিউজটা। সিইও সাহেবও জানেন। আমাদের নিজেদের মাঝে আলাপ আলোচনা করা দরকার। তারপর আমরা বলতে পারবো কি জানতে চাইবো তার কাছে। এটা আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেবো।’

এআরবি/আইএইচএস