ক্যারিয়ারে সেরা বোলিংয়ে মোসাদ্দেকের ৫ উইকেট
এক রাতের ব্যবধানে কত পরিবর্তন! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১টি উইকেট পেয়েছিলেন। রান দিয়েছিলেন সবচেয়ে কম, ২১। তবে দলকে হারতে হয়েছে। বাকি বোলাররা অকাতরে রান দেয়ার কারণে জিম্বাবুয়ে পেয়েছিল ৩ উইকেটে ২০৫ রানের পুঁজি। ১৭ রানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতে একই চিত্র। টস হারতে হলো অধিনায়ক সোহানকে এবং যথারীতি ফিল্ডিং। এবার আগের ম্যাচের সবচেয়ে কম রান দেয়া মোসাদ্দেকের হাতেই প্রথম বল তুলে দিলেন অধিনায়ক। আস্থার প্রতিদানটা অক্ষরে অক্ষরে দিলেন বাংলাদেশের এই স্পিনিং অলরাউন্ডার।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংই নয় শুধু- ইলিয়াস সানি, মোস্তাফিজুর রহমান এবং সাকিব আল হাসানের পর চতুর্থ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারী বোলা হয়ে গেলেন মোসাদ্দেক। এর আগে তার সেরা বোলিং ছিল ২১ রানে ২ উইকেট।
১৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিয়েছিলেন মোটে ৭ উইকেট। সেখানে আজ এক ম্যাচেই ২০ রান দিয়ে নিলেন ৫ উইকেট। ৪ ওভারের কোটা শেষ করার পর মোসাদ্দেকের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ৪-০-২০-৫।
প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছিলেন। নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন রেগিস চাকাভাকে। অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল। কাট করতে গিয়ে নিজেই কট হয়ে গেলেন চাকাভা। মোসাদ্দেকের উইকেট শিকার শুরু তখন থেকেই।
প্রথম ওভারের শেষ বলে আবারও উইকেট নিলেন। এবার ওয়েসলি মাধভিরেকে ফেরালেন তিনি। আগের ম্যাচে ৬৭ রান করে এই মাধভিরেই বাংলাদেশের পরাজয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। দলের তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে নিলেন তৃতীয় উইকেট। এবার ফেরালেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে।
৫ম ওভারে বল করতে এসে মোসাদ্দেক ফেরালেন শন উইলিয়ামসকে। ৭ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি মোসাদ্দেকের হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়েই। ৭ম ওভারে মিল্টন সুম্বাকে ফিরিয়ে পূরণ করলেন ফাইফার। সে সঙ্গে নিজের কোটাও শেষ করে নেন মোসাদ্দেক।
আইএইচএস/