টেস্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অবিসংবাদিত কিংবদন্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার ক্রিস গেইল। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ব্যাট হাতে গেইলের অবিশ্বাস্য সব কীর্তির মালিক তিনি। বিশ্বব্যাপী ঘুরে ঘুরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার কারণে তাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালাও বলে থাকেন অনেকে।
তবে এই টি-টোয়েন্টির রাজাই এখন চিন্তিত টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে। তার মতে, দীর্ঘ পরিসরের ফরম্যাটটি এখন বড় দলগুলোর মধ্যেই আটকে গেছে। কেননা শীর্ষ দলগুলোর বাইরে অন্যরা এখন আর বেশি ম্যাচের সিরিজ পায় না। যা খেলাটির জন্য নেতিবাচক বলেই মনে করেন গেইল।
টকস্পোর্ট রেডিওতে ইউনিভার্স বস বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট এখন খানিক বিপদে আছে। আমি নিচের সারির দলগুলো নিয়ে চিন্তিত। তারা পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে না। খেলাটি এখন এমনই ব্যবসা হয়ে গেছে যে নিচের সারির দলগুলো মাত্র একটি বা দুইটি টেস্ট ম্যাচ পাচ্ছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটি এখন পুরোপুরি ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ায় আটকে গেছে। এরা নিজেদের মধ্যে নিয়মিতই চার-পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলে। আমরা নিচের দিকের দলগুলো এ সুযোগ পাই না। এটি আমাদের জন্য সমস্যার কারণ। আমরা সবসময় নিচের দিকেই থাকবো। যা খেলাটির জন্য মোটেও ভালো নয়। এ বিষয়ে আইসিসির নজর দেওয়া উচিত।’
টি-টোয়েন্টিতে অনেক রেকর্ডের মালিক গেইলের টেস্ট পরিসংখ্যানও মন্দ নয়। ২০০০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সময়ে ১০৩ টেস্ট খেলে ১৫ সেঞ্চুরিতে ৭ হাজারের বেশি রান করেছেন গেইল। ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে এই ফরম্যাটে দুইটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক তিনি।
গেইলের মতে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক অর্থকড়ি থাকায় এটি খুব দ্রুতই সবার আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কেননা বিভিন্ন লিগ থেকে পাওয়া অর্থের কল্যাণে অনেক খেলোয়াড়েরই জীবনযাপন সহজ হয়ে গিয়েছে।
তার ভাষ্য, ‘শুরুতে আমি সহজ পথ খুঁজছিলাম। (টি-টোয়েন্টি) সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট, আপনি তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারবেন। আমি ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছিলাম না। এখন যা হচ্ছে, তা একদমই আশা করিনি। স্ট্যানফোর্ডের সেই ম্যাচ, ২০ মিলিয়ন ডলারের সেই ম্যাচ। এরপর টি-টোয়েন্টির সবকিছু বদলে গেছে।’
‘এ কারণেই আপনি এখন এতো বেশি টি-টোয়েন্টি লিগ দেখতে পাচ্ছেন। এর মধ্যে আইপিএল সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দেয়। এই খেলার মাধ্যমে আপনি ভবিষ্যত নিরাপদ করতে পারেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট জীবন বদলে দেওয়ার মতো বিষয়। এটি অনেক জীবন বদলে দিয়েছে। এখন এই খেলা যে অবস্থায় আছে, আমি খুব খুশি।’
এসএএস/এএসএম